সুপারিশপ্রাপ্ত সবাইকে নিয়োগ দেওয়া হবে: এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৮:৫৫ AM , আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৮:৫৫ AM
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুপারিশপ্রাপ্ত সকলকে নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান।
সম্প্রতি সুপারিশপ্রাপ্ত ৩৪ হাজার ৭৩ জন শিক্ষকের যোগদান বিড়ম্বনা নিয়ে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বলেন, সুপারিশপ্রাপ্ত অনেক প্রার্থী যোগদানের সময় অর্থ চাওয়ার অভিযোগ করেছেন। এ সংক্রান্ত অসংখ্য অভিযোগ আমাদের দপ্তরে এসে জমা হয়েছে। আমরা এগুলো যাচাই করে দেখছি। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি যোগদান শেষ হবে। এরপর আমরা অভিযোগগুলো নিয়ে বসব। সুপারিশপ্রাপ্ত সকলকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
এনামুল কাদের খান বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান সুপারিশপ্রাপ্তদের যোগদান করতে দিচ্ছে না সেসব প্রতিষ্ঠান প্রধানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হবে। তারা যদি সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারে তাহলে তাদের এমপিও স্থগিত করা হবে। এছাড়া ওই প্রতিষ্ঠানের এডহক কমিটিও বাতিল করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: গণহারে এমপিও ফাইল রিজেক্ট, শিক্ষকদের ক্ষোভ
নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্ত হিসেবে নিয়োগ পাওয়া প্রার্থীদের বিষয়ে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমাদের নিজস্ব জনবল না থাকায় আমরা উপজেলা এবং জেলা শিক্ষা অফিস থেকে শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করি। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্ভুলভাবে তথ্য দিতে বলা হলেও অনেক তথ্যে ভুল ধরা পড়ে। তারা আমাদের অধীন না হওয়ায় আমরা তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে পারিনা।
প্রসঙ্গত, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজারের বেশি পদে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে গত বছরের ১৫ জুলাই তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। তবে প্রার্থী না থাকায় এবং মহিলা কোটা পূরণ না হওয়ায় ৩৮ হাজার ২৮৩ জনকে নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ করা হয়। সুপারিশপ্রাপ্তদের মধ্যে ৪ হাজারের বেশি প্রার্থী পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ করে না পাঠানোয় ৩৪ হাজার ৭৩ জন নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দেয় এনটিআরসিএ।
আরও পড়ুন: শিক্ষামন্ত্রীর সাথে বৈঠক করবে এনটিআরসিএ, আলোচনায় চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি
গত মাসের ২১ জানুয়ারির পর থেকেই সুপারিশপ্রাপ্তরা যোগদান শুরু করেন। তবে প্রথম দিন থেকেই প্রার্থীরা যোগদানপত্র পেতে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ তোলেন। বিষয়টি নিয়ে কোনো পক্ষ ব্যবস্থা না নেওয়ায় সদ্য শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্তদের মনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।