এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম পুনরায় চালু কবে?
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৫ PM , আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২০ PM
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এনটিআরসিএর নিয়োগ পাওয়া এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পারস্পরিক বদলির আবেদন শুরু হয় গত ২ নভেম্বর থেকে। বদলি প্রত্যাশীদের আবেদনের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে www.dshe.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আবেদন করতে বলা হয়। তবে আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলার কথা থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সেটা স্থগিত হয়ে যায়।
বদলি আবেদন শুরুর পরেই গত ৩ নভেম্বর আরেকটি সিদ্ধান্তে ১ নভেম্বর থেকে চালু হওয়া পারস্পরিক বদলির আবেদন প্রক্রিয়া সাময়িক স্থগিতের কথা জানানো হয়। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বদলি প্রত্যাশীরা। তাদের দাবি, বিষয়টি যেন দীর্ঘায়িত করা না হয়। যত দ্রুত সম্ভব বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে কাজ করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
কার্যক্রম স্থগিত হওয়ার কারণ ও পুনরায় চালুর বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর এ বি এম রেজাউল করীম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ‘বদলি কার্যক্রম পুনরায় চালুর বিষয়ে আমরা কাজ করছি। শীঘ্রই শিক্ষক বান্ধব একটা সিদ্ধান্ত আসবে বলে আমরা মনে করি। স্বল্প সময়ে অপেক্ষা করতে হবে শিক্ষকদের।’
জানা গেছে, বদলির জন্য অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রত্যাশীদের অবশ্যই পারস্পরিক বদলির সম্মতিপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং এনটিআরসিএর সুপারিশপত্র সংযুক্ত করতে হবে। এ বিষয়ে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১ আগস্টের এক চিঠিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন ‘বেসরকারি স্কুল ও কলেজে কর্মরত শিক্ষকদের পারস্পরিক বদলি সংক্রান্ত নীতিমালা-২০২৪’ জারি করা হয়।
এ বিষয়ে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ’র (এনটিআরসিএ) সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক বলেন, ‘আবেদনকারীরা নির্দেশনা অনুযায়ী আবেদন করলে পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনায় নেবে। তবে কবে নাগাদ বদলির কার্যক্রম শুরু হবে মন্ত্রণালয় থেকে আমার এখনো কোনো নির্দেশনা পাইনি। নির্দেশনা পেলে পরবর্তী অগ্রগতি জানানো হবে।’
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্বল্প বেতনের শিক্ষকদের জন্য গুরুতর দুর্দশা সৃষ্টি করে, এমন একটি সমস্যা সমাধানের জন্য শিক্ষকদের বদলির ব্যবস্থা একটি ব্যয়হীন উদ্যোগ। অথচ ২০১৫ সালে কেন্দ্রীভূত ব্যবস্থা চালু হওয়ার পরও অজানা কারণে এটি নিয়ে আর চিন্তা করেনি তৎকালীন সরকার। সম্প্রতি শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদও বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এনটিআরসিএ’র নিয়োগ পরিপত্র অনুযায়ী, একজন ইনডেক্সধারী শিক্ষক যেকোনও বয়সে পরবর্তী যেকোনও গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের মাধ্যমে মেধা তালিকা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করতে পারবেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে অনেক নিবন্ধনধারী শিক্ষক নিজ এলাকায় শূন্যপদ না থাকায় দেশের এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় আবেদন করে সুপারিশ পেয়েছেন। ২০১৫ সালের পরিপত্রের ৭ নম্বর অনুচ্ছেদ সাময়িক স্থগিত করার কারণে চতুর্থ ও পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারীদেরও আবেদনের সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা সমস্যায় পড়েন।