প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ
শিক্ষাজীবনে একটির বেশি তৃতীয় শ্রেণির অযোগ্যতা বিধান বাতিলে রুল
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:১৫ PM , আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:২২ PM
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো এমপিও নীতিমালা, ২০২১-এর পরিশিষ্ট 'ঘ' এর ক্রমিক নং ৮, ৯ এবং ১০ এর ৩ নম্বর কলামের বৈধতা প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে বুধবার (৮ অক্টোবর) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
ওই কলামে বলা হয়েছে, যাদের শিক্ষাজীবনে একটির বেশি তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি/সমমান তারা বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক পদে এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে চাকরির আবেদন করতে পারবে না। চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন, অ্যাডভোকেট নাঈম সরদার ও ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার।
এর আগে গত ৫ নভেম্বর ঝালকাঠি জেলার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: এনটিআরসিএ'র সুপারিশে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের জন্য সুখবর আসছে
রিটে বলা হয়, ২০০৯ সালের ৩ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ১৯৯৫ সালের ২৪ অক্টোবরের আগে যে সব ব্যক্তি কোনও বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক বা বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে জব ইনডেক্স নম্বর পেয়েছিলেন তারা তাদের শিক্ষাগত জীবনে একাধিক তৃতীয় বিভাগ থাকা সত্ত্বেও ওই পদগুলোতে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন। যেহেতু আবেদনকারী ১৯৯৪ সালে জব ইনডেক্স নম্বর পান এবং এখনও পর্যন্ত কর্মরত আছেন। সুতরাং আবেদনকারী ওই পদসমূহে আবেদন করতে আইনগতভাবে অধিকারী।
কিন্তু আবেদনকারীর শিক্ষাগত জীবনে একাধিক তৃতীয় বিভাগ থাকায়, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো এমপিও নীতিমালা, ২০২১ অনুযায়ী, ওই পদগুলোতে আবেদন করতে পারছেন না। যেটি বেআইনি এবং চরম বৈষম্যমূলক যা বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিক মানবাধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির বলেন, আশা করি শিক্ষা মন্ত্রণালয় অতি দ্রুতই হাইকোর্টের রুলের জবাব দেবে এবং আদালতের রায়ের মাধ্যমে রিট আবেদনকারীসহ হাজার হাজার বঞ্চিত শিক্ষক সংশ্লিষ্ট পদগুলোতে আবেদন করার সুযোগ পাবেন।