আগামী সংসদ নির্বাচনের তারিখ জানালেন নানক

আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটির আলোচনা সভা
আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটির আলোচনা সভা   © সংগৃহীত

২০২৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর অথবা ২০২৪ সালের ২৪ জানুয়ারি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পরিষদ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক। 

তবে নির্বাচন কমিশন এখনও ভোটের তারিখ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তারা নির্বাচনের রূপরেখার খসড়া চূড়ান্ত তৈরি করেছে। সেটি চলতি মাসের শেষে অথবা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রকাশ করার কথা। 

শুক্রবার দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনায় নানক আগামী নির্বাচনের কথা ইঙ্গিত করে বিএনপির উদ্দেশে বলেন, ‘আসেন না মির্জা ফখরুল সাহেবরা আগামী বছরের ২৩ ডিসেম্বর অথবা ২৪ জানুয়ারিতে। আমি জানি আপনারা আসতে পারবেন না, কারণ তারেক রহমান যেহেতু আসতে পারবেন না। মির্জা ফখরুল সাহেব, তারেক রহমান আপনাদেরকে নির্বাচনে আসতে দেবেন না। তাহলে কী চান? আবার বাংলাদেশে ২১ আগস্ট চান?’

আরও পড়ুন: চাকরির বয়সসীমা ৩৫ করার দাবি বিবেচনার আশ্বাস ওবায়দুল কাদেরের

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটি এই আলোচনার আয়োজন করে। 

নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তো এখনও অনেক দেরি। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

একই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব বলেন, ‘তারিখ যে কেউ ঘোষণা করেছে, সেটা তো দেখিনি, জানি না। তফসিল ঘোষণা করার আইনগত সাংবিধানিক অধিকার শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশনের। এ ব্যাপারে মনগড়া যদি কেউ বলে থাকে, সেটা তার ব্যাপার।’

২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। সংবিধান অনুযায়ী প্রথম অধিবেশন বসার আগের ৯০ দিনের মধ্যে যেকোনো দিন ভোট হতে হবে।

সেই হিসাবে ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জানুয়ারি ভোট হতে হবে। সেই হিসাবে ভোটের বাকি এখন ১৫ থেকে ১৮ মাসের মতো সময়।

নানক ভোট ছাড়াও কথা বলেন জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম জোটের হরতাল নিয়ে। তিনি বলেন, ‘গতকাল একটি হরতাল পালন হয়ে গেল দেশে। কেউ টের পেল না, রাস্তায় যানজট।… আবার দেশে অশুভ শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।’

আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘আমাদের খুব সতর্ক হতে হবে। ওরা আবার নেমেছে। ওরা বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দেবে না। সেই কারণেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা নেমেছেন। পাকিস্তানি প্রেসক্রিপশনে এসব হচ্ছে।’


সর্বশেষ সংবাদ