আগেও দুবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এডিসি লাবণী, কেন?
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২২, ০৪:১৯ PM , আপডেট: ২২ জুলাই ২০২২, ০৪:২৮ PM
দেশজুড়ে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) খন্দকার লাবণীর আত্মহত্যার ঘটনা নানান আলোচনার জন্ম দিয়েছে। নেটিজেনরা মনে করছেন পুলিশের এতো বড় কর্মকর্তা হয়েও একজন ব্যক্তি কেন এমন সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন?
লাবণীর পরিবার জানিয়েছে, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি এর আগেও আরও দু’বার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। দু’বারে ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি। তবে এবার তিনি সফল।
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বরালিদহ গ্রামের খন্দকার লাবণীর স্বামী তারেক আবদুল্লাহ বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক (এডি) হিসেবে কর্মরত। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে ভারতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তারেক আবদুল্লাহ।
এ ব্যাপারে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুল হাসান জানান, নানাবাড়িতে ঘরের সিলিংফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। পরে পরিবারের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে এডিসি লাবণীকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লাবণীর বাবা খন্দকার শফিকুল আজম জানিয়েছেন, অনেক দিন ধরে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি চলছিল। তারা একে অপরকে এড়িয়ে চলছিলেন। এ দ্বন্দ্বের কারণেই লাবণী আত্মহত্যা করেছেন। লাবণী এর আগেও ১৫ দিন ও সপ্তাহ-খানেক আগে দু’বার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
এদিকে কনস্টেবল মাহমুদের ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, তিনি কাজ শেষে ভোরে ব্যারাকে ফিরেন। এরপর ছাদে গিয়ে নিজ নামে ইস্যু করা শটগান দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসময় গুলির শব্দ শুনে অন্যরা এগিয়ে গিয়ে মাহমুদকে মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়েছিলেন। মাহমুদের থুতনি দিয়ে গুলি ঢুকেছে। তবে তার আত্মহত্যার কারণ এখনো জানা যায়নি।
জানা গেছে, মাহমুদুল হাসানের বাবা মো. এজাজুল হক খানও চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত।
এ ব্যাপারে তিনি জানান, আমার ছেলে দুই বছর চার মাস আগে পুলিশে যোগ দেয়। মাগুরায় আসার আগে মাহমুদ খুলনা মেট্রোপলিটনে কর্মরত ছিল। ঘটনার রাতে তার সঙ্গে মুঠোফোনে আমার সর্বশেষ কথা হয়। সে সময়ে মাহমুদুল জানিয়েছিল, যশোর রোডে ডিউটিতে রয়েছেন। আমাদের স্বাভাবিক ও হাসিঠাট্টামূলক কথাই হয়। কিন্তু তার আত্মহত্যার কারণ বুঝতে পারছি না।
এ বিষয়ে মাগুরার পুলিশ সুপার মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, মাহমুদুল দেড় মাস আগে মাগুরায় বদলি হয়েছেন। এর আগে, এডিসি খন্দকার লাবণীর দেহরক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। দু’টি ঘটনার যোগসূত্র থাকা বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তারা দু’জনেই আত্মহত্যা করেছেন। এ ব্যাপারে পুলিশ তদন্ত করছে।