বিসিএস ক্যাডার সেই দুই ভাইয়ের দোকানের মিষ্টি চান প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিসিএস ক্যাডার দুই ভাইয়ের মিষ্টি বিক্রির দৃশ্য
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিসিএস ক্যাডার দুই ভাইয়ের মিষ্টি বিক্রির দৃশ্য  © ফাইল ফটো

ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে বাবার ফুটপাতের দোকানে মিষ্টি বিক্রি করা দুই ভাইয়ের দোকানের মিষ্টি খেতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (১ মে) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

ফেসবুকের ওই স্ট্যাটাসে শাহরিয়ার আলম জানান, ‘‘বিসিএস ক্যাডার দুই ভাইয়ের মিষ্টি বিক্রির খবর প্রধানমন্ত্রীর নজরে এনেছি। তিনি আমাকে যা বলেছেন তা হলো, ‘‘দুই ভাইকে বিশেষ পুরস্কার দেয়া উচিত। কাজের মুল্যায়ন করছে। আমার অভিনন্দন জানাবে।  আমার জন্য ঐ দোকান থেকে মিস্টি আনবে।’’

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌর বাজারের চাল হাটায় বাবার ফুটপাতের দোকানে মিষ্টি বিক্রি করেন বিসিএস ক্যাডার দুই ভাই। এই খবর দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়।

আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশের সাঈদ

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বাবু উত্তম কুমার পালের দুই সন্তান। দুই সন্তানের মধ্যে অমিত কুমার পাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। পরে তিনি ৩৫ তম বিসিএস পরীক্ষায় পাশ করে সান্তাহার সরকারি কলেজে যোগদান করেন। আরেক সন্তান মৃনাল কুমার পাল মিঠন এমবিবিএস শেষে করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত রয়েছে। তিনিও বিসিএস ক্যাডার। দুই ভাই ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে পিতার ফুটপাতের মিষ্টির দোকানে বসে দোকানদারি করেন।

এ বিষয়ে অমিত কুমার পাল বলেন, আমার বাবা অনেক কষ্ট করে আমাদের মানুষ করেছেন। আমি বিসিএস ক্যাডার হলেও কোনো কাজকেই ছোট করে দেখিনা। তাই সুযোগ পেলেই বাবার মিষ্টির দোকানে মিষ্টি বিক্রি করতে আসি।

আরও পড়ুন: জিপিএ-৫ আড়াই লাখ, পরীক্ষার সুযোগ পাবে ৩৫ হাজার

মৃনাল কুমার পাল মিঠন বলেন, এবার ঈদের ছুটি কাটাতে গ্রামের বাড়ি এসেছি। বাবার ব্যবসা ছোট হলেও ভিড় অনেক বেশি। বাবা একা মানুষ। একা আর কত করবে। তাই বাবাকে সহযোগিতা করতে ছুটে এসেছি। সুযোগ পেলেই আমরা বাবাকে সহযোগিতা করি।

ছেলেদের এমন কাজে খুশি পিতা বাবু উত্তম কুমার পাল। তিনি বলেন, আমার ছেলে মেয়েদের কখনো ভালো প্রাইভেট, ভালো পোশাক, খাদ্য, ঘুমানোর ভালো জায়গা দিতে পারেনি। আমার ও আমার স্ত্রী বাসনা রানীর সার্বিক প্রচেষ্টায় আজ ছেলে ভালো জায়গায় এসেছে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence