দোকান-শপিংমল খোলা থাকবে রাত ৮টা পর্যন্ত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২২, ০৬:৪১ PM , আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২২, ০৭:০০ PM
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ মোকাবিলায় দোকান-শপিংমল খোলা রাখার সময়সীমা কমিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, রাত ১০টার পরিবর্তে রাত ৮টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা রাখা যাবে। এটা প্রস্তাব করা হয়েছে। হোটেল-রেস্টুরেন্টে খেতে হলে টিকা দেওয়ার কার্ড দেখাতে হবে। মাস্ক পরে যেতে হবে। সবাইকে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য তাগাদা দেওয়া হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল চলবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যদি সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়, তবে স্কুলের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হবে। তখন আর স্কুল চালিয়ে রাখা যাবে না। এখনো সেই সিদ্ধান্ত আমরা নেইনি, সেই পরিস্থিতি এখনো দেশে বিরাজ করছে না।
আরও পড়ুন: জিপিএ-৫ এর তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা অর্ধেকেরও কম
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অনেকে জিজ্ঞাসা করছেন, লকডাউন দেওয়া হবে কি না, পাশের দেশে (ভারতে) তো দিয়েছে। আমরা সেই চিন্তা এখনো করছি না। যদি অবস্থা আওতার বাইরে যায়, সংক্রমণ অনেক বৃদ্ধি পায়, তাহলে লকডাউনের চিন্তা মাথায় আছে। পাশাপাশি স্থল, নৌ ও সমুদ্রবন্দরে স্ক্রিনিং জোরদার করা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইনের ক্ষেত্রে পুলিশ পাহারা বসানো হবে। এবিষয়ে দৃষ্টি দিতে বলা হয়েছে।
এসব বিষয় ১৫ দিন পর বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ডিসি, এসপিসহ যারা জেলা পর্যায়ে দায়িত্বে আছেন, তাদের বলা হয়েছে। নির্দেশনাগুলো তারা যখন হাতে পাবেন, দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন। আগে ১৫ দিনের কথা বলা হয়েছে। আজ আমি প্রস্তাব করেছি ১৫ দিন নয়, সাতদিন করার জন্য। সেটা মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে বলা হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের পেছনে সবচেয়ে কম ব্যয় করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বাস ও অন্যান্য যানবাহনে যাত্রী অর্ধেক পরিবহনের প্রস্তাব করা হয়েছে। রেস্টুরেন্ট ও হোটেলে মাস্ক পরে যেতে হবে। মাস্ক ছাড়া গেলে দোকানদারের জরিমানা হবে, যে যাবে তারও জরিমানা হতে পারে। এর আগে সোমবার (৩ জানুয়ারি) ওমিক্রন মোকাবিলায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আয়োজনে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়।