অ্যাসাইনমেন্টের নম্বর কম দেওয়ায় ১৩ শিক্ষককে শোকজ

সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে
সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে  © ফাইল ফটো

সম্প্রতি বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এই ফলাফলে কয়েকটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্টের নম্বর কম দেওয়ায় ১৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নম্বর কম দেওয়ার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শনের নোটিশ জারি করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে ভাঙ্গা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হায়দার হোসেন শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

আরও পড়ুন: সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত আয়োজক কমিটির উপর

ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে। ওই ১৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্টের নম্বর কম দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাদের এ নোটিশ দেন।

প্রধান শিক্ষক বলেন, গত ১১ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হলে কয়েকটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্টের নম্বর দেওয়ায় কিছু শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ওঠেছে। অ্যাসাইনমেন্টে নম্বর প্রাপ্তিতে অসন্তোষ প্রকাশ করে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় সুধীজনদের মাঝে চরম হতাশা, মনোকষ্ট ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের খাতা পুনারায় মূল্যায়নের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের খাতা ফের মূল্যায়নের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খাতাগুলো মূল্যায়ন করা হয় এবং তাদের নম্বর বৃদ্ধি পায়। এতে সংশ্নিষ্ট শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অ্যাসাইনমেন্ট খাতা মূল্যায়নে অনিয়ম ও কম নম্বর দেওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হয়। ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়।

আরও পড়ুন: মায়ের পরামর্শে প্রাণ বাঁচল সাতার না জানা জবি শিক্ষার্থীর

তিনি বলেন, কিছু শিক্ষকের অনিয়ম ও দুর্নীতির দায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহন করতে পারে না। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে সংশ্নিষ্ট শিক্ষকদের গত ২০ ডিসেম্বর লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। আগামী সাত দিনের মধ্যে তাদের সুস্পষ্ট লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গত ১৫ ডিসেম্বরের পর থেকে স্কুল শীতকালীন বন্ধ থাকায় অনেকেই ছিলেন না। তবে বিষয়টি মৌখিকভাবে সংশ্নিষ্ট সবাইকে জানানো হয়েছিল। নোটিশ দেওয়ার পর থেকে পরবর্তী সাত দিনের মধ্যে সংশ্নিষ্ট শিক্ষকদের যথাযথ কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিম উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। তদন্ত করে বিধি মোতাবেক সংশ্নিষ্ট শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন দীর্ঘস্থায়ী সুরক্ষা দেবে না: বিশেষজ্ঞ

কারণ দর্শনের অভিযোগ প্রাপ্ত ১৩ শিক্ষক হলেন- সহকারী শিক্ষক মাহবুবুল আলম, দিলীপ কুমার বিশ্বাস, ইব্রাহীম মিয়া, সারোয়ার হোসেন, শামীমা আক্তার, জাহিমা খানম, তাসদিদা খানম, প্রভাতি বালিকা শাখার সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহাবুদ্দিন শেখ, ওয়াসিম ফকির, কবির হোসেন ও দিবা বালক শাখার সহকারী প্রধান শিক্ষক ইকরাম আলী ফকির।

এছাড়াও ভোকেশনাল শাখার ট্রেড-ইন্সট্রাক্টর দেলোয়ার হোসেন ও নুরুন্নবী সরকার।

এ বিষয় জানতে চাইলে দিবা বালক শাখার সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. ইকরাম আলী ফকির বলেছেন, কারণ দর্শনের নোটিশ পেয়েছেন, তবে জবাব এখনও দেননি। তিনি ২২ ডিসেম্বর নোটিশ পেয়েছেন। সময়মতো তার বক্তব্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।


সর্বশেষ সংবাদ