করোনাভাইরাস

লেখাপড়ায় মেয়েদের তুলনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ছেলেরা

শিক্ষার ওপর করোনার প্রভাব নিয়ে চলতি বছরের মার্চ মাসে একই ধরনের জরিপ হয়েছিল। প্রকাশিত জরিপটি চালানো হয় গত ২১ আগস্ট থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত
শিক্ষার ওপর করোনার প্রভাব নিয়ে চলতি বছরের মার্চ মাসে একই ধরনের জরিপ হয়েছিল। প্রকাশিত জরিপটি চালানো হয় গত ২১ আগস্ট থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত  © ফাইল ফটো

করোনায় দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পড়ালেখার ক্ষতির ঝুঁকি বেড়েছে। এ প্রবণতা মাধ্যমিক পর্যায়ের ছেলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশি। বর্তমানে দেশে পড়ালেখায় ক্ষতির মুখে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৭৯ লাখ। গ্রাম ও শহরের বস্তি এলাকায় করা সাম্প্রতিক এক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

বেসরকারি সংগঠন পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) জরিপটি করেছে। সোমবার (১৮ অক্টোবর) এক ওয়েবিনারে জরিপের ফলাফল তুলে ধরা হয়।

শিক্ষার ওপর করোনার প্রভাব নিয়ে প্রতিষ্ঠান দুটি চলতি বছরের মার্চ মাসে একই ধরনের জরিপ করেছিল। প্রকাশিত জরিপটি চালানো হয় গত ২১ আগস্ট থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে পড়া শিক্ষার্থীদের ৪ হাজার ৮৭২ জন অভিভাবক অংশ নেন। টেলিফোনে প্রশ্ন করে জরিপের তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

প্রকাশিত প্রতিবেদনের দেখা গেছে, মার্চে প্রাথমিকের ১৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়ালেখার ঝুঁকিতে ছিল। আগস্টে তা বেড়ে ২২ শতাংশে দাঁড়ায়। আবার মার্চে ২৫ শতাংশ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী এই ক্ষতির ঝুঁকিতে ছিল। আগস্টে তা বেড়ে হয় ৩০ শতাংশ। মাধ্যমিকে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের ক্ষতির পরিমাণ বেশি।

মার্চে ছেলে শিক্ষার্থীদের ২৬ শতাংশ ক্ষতির মুখে থাকলেও আগস্টে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৪ শতাংশে। অন্যদিকে মার্চে ২৪ শতাংশ মাধ্যমিক স্তরের মেয়ে শিক্ষার্থী পড়ালেখার ক্ষতির মুখে ছিল; আগস্টে সেটি সামান্য বেড়ে ২৫ শতাংশে দাঁড়ায়।

জরিপের ফলাফল ওয়েবিনারে তুলে ধরেন বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন। তিনি বলেন, আগস্টে শিক্ষণ ক্ষতি বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ও বিধিনিষেধের প্রভাব ছিল। মার্চে একধরনের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার হলেও দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়। করোনাকালে নানা ধরনের ক্ষতির মধ্যে শিক্ষার ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এই জরিপ যখন হয়, তখন দেশে স্কুলগুলো বন্ধ ছিল। সে সময় ৭৫ শতাংশ অভিভাবকই স্কুল খুলে দেওয়ার পক্ষে ছিলেন। স্কুল বন্ধ থাকার সময়ে বিকল্প পদ্ধতির পাঠদান ব্যবস্থা নিয়েও জরিপে তথ্য তুলে ধরা হয়। দেখা যায়, গ্রামের ৪৪ শতাংশ পরিবারের ও শহরের ৩৬ শতাংশ বস্তিবাসী শিক্ষার্থীর অনলাইনে শিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ নেই।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence