এবারও বছরের শুরুতেই নতুন বই, ছাপা হচ্ছে প্রায় ৩৫ কোটি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২০, ০৮:৪৩ AM , আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২০, ০৮:৪৩ AM
বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের বই উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষাবর্ষ অনেকটা আনন্দের মধ্য দিয়েই শুরু হয়। বছরের প্রথম দিনেই উৎসব করে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয় সরকার। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ১ জানুয়ারি বই উৎসব না হলেও বছরের শুরুতেই বিনা মূল্যের বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এদিকে করোনা পরিস্থিতির নানা জটিলতার কারণে নতুন বছরের বইয়ের ছাপার কাজ বিলম্বিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিলেও আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে সব বই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে যাবে বলে নিশ্চিত করেছেন জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এছাড়া আগামী শিক্ষাবছরের জন্য ছাপা হচ্ছে প্রায় ৩৫ কোটি বই। তাইতো নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নিতে অধীর অপেক্ষায় শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, প্রায় ৭০ শতাংশ বই বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় পৌঁছে গেছে। বাকিগুলো আশা করি এ মাসের মধ্যেই পৌঁছে যাবে। করোনার মধ্যেও আমরা যথাসময়ে মানসম্মত বই শিক্ষার্থীদের তুলে দিতে পারব। করোনার কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ, কাগজের দাম বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন অজুহাতে মুদ্রণকারীরা যথাসময়ে বই দিতে পারবে না বলে আশঙ্কা করলেও আমাদের নানা পদক্ষেপের কারণে সংকট কেটে গেছে। আমরা মুদ্রণ মালিকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। ৩০ ডিসেম্বর যে ডেটলাইন আছে, এর মধ্যেই সব বই পৌঁছে যাবে।
তিনি বলেন, এ রকম কিছু সমস্যা আগেও বিভিন্ন সময় দেখা দিলেও শেষ পর্যন্ত আমরা তা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি, যথাসময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে পেরেছি। এবারও কোনো সমস্যা হবে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ১৫১টি প্রিন্টিং প্রেসে ছাপা হচ্ছে প্রায় ৩৫ কোটি বই। এর মধ্যে ২৪.৪১ কোটি বই মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী এবং ১০.৫৪ কোটি বই প্রাথমিক পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ছাপানো হচ্ছে। সময়মতো বই পৌঁছাতে এনসিটিবি কর্মকর্তারা প্রিন্টিং প্রেস এবং বই পৌঁছানোর কাজ জোর তদারকি করছেন।
এছাড়া অন্যান্য বছরের মতো এবারও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য ব্রেইল বই এবং পাঁচটি ভাষায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্যও রয়েছে নিজস্ব ভাষার প্রাক-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত বই।