আনন্দবাজারে মিথ্যাচার, প্রতিবাদ জানাল বিজিবি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২০, ০৫:২৫ PM , আপডেট: ১০ জুলাই ২০২০, ০৫:২৫ PM
ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকায় ‘অরক্ষিত জমিতে পা পড়ছে বাংলাদেশির’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ৭ জুলাই আনন্দবাজার পত্রিকায় রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়।
শুক্রবার বিজিবির সদর দফতর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি ভিত্তিহীন, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। পত্রিকায় ঘটনাস্থল রানীনগর সীমান্তের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সেখানে কোনও ঘটনা ঘটেনি। এলাকাটি রাজশাহী বিজিবির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা। চারঘাট বিওপি থেকে শুরু করে তালাইমারি বিওপি পর্যন্ত বিস্তৃত এবং এখানে পদ্মা নদী বরাবর শূন্য লাইন অতিক্রম করেছে।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, সীমান্তের রানীনগর ১ ও ২ ব্লক এবং জলঙ্গি জুড়ে প্রায় ২২ হাজার একর অরক্ষিত জমিতে বাংলাদেশিরা অবাধে চাষাবাদ করছে। কিন্তু বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। ভারতের অভ্যন্তরে গিয়ে চাষাবাদ করা তো দূরের কথা আন্তর্জাতিক সীমারেখা বরাবর চাষাবাদ করাই অসম্ভব একটি ব্যাপার। সেখানে প্রতিনিয়ত শূন্য লাইন বরাবর বিজিবি সদস্যরা রাত দিন টহল করে সীমান্ত রক্ষা করছে। দিন কয়েক আগে দু’জন বাংলাদেশি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় এলাকায় চলে আসলে বিএসএফ তাদের আটক করে।
বিজিবি জানায়, আসল ঘটনা সম্পূর্ণ উল্টো এবং প্রকাশিত সংবাদটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মূলত ২ জুলাই জলঙ্গি সীমান্তে দু’টি ঘটনা ঘটে। ওইদনি বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে নয়ন শেখ এবং শহিদুল শেখ নামে দু’জন জলঙ্গী সীমান্ত দিয়ে আন্তর্জাতিক সীমারেখা অতিক্রম করে। তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ইউসুফপুর গ্রামে মাদক ব্যবসা এবং অর্থ লেনদেনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় লোকজনের ওপর চড়াও হয়। স্থানীয়রা ব্যাপারটিকে সহজভাবে না নিয়ে তাদেরকে ঘেরাও করে ফেলে। পরে ইউসুফপুর বিজিবি ক্যাম্প খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে ভারতীয় দু’জনের নিরাপত্তার কথা ভেবে হেফাজতে নিয়ে নেয়। একই দিন দুপুর ১২ টায় বিএসএফ টহল দল অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক সীমারেখা অতিক্রম করে ৩০০ মিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে (পিলার ৭২/৪-এস বরাবর) প্রবেশ করে ইউসুফপুর এলাকা থেকে তিন জন কৃষককে ধরে নিয়ে যায়। যারা চর এলাকায় চাষাবাদ করে বাড়ি ফিরছিল।
উভয় ঘটনার রেশ ধরে একই দিনে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ৩ জুলাই শান্তিপূর্ণভাবে উভয় দেশের নাগরিক হস্তান্তর ও গ্রহণের মাধ্যমে ব্যাপারটি সুষ্ঠুভাবে মীমাংসা হয়।