সিটি নির্বাচন: নিজের জরিপ প্রকাশ করলেন জয়
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২০, ১২:১০ AM , আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২০, ১২:৩৩ AM
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের প্রচারণা শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে আর কোনো ধরণের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না প্রার্থীরা। এবার ভোট গ্রহণের পালা। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলবে।
এদিকে, নির্বাচনের প্রচারণার শেষ মুহূর্তের এসে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে এ নির্বাচনের একটি জরিপ প্রকাশ করেন। তাতে দেখা যায়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ৫০ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং দক্ষিণ সিটিতেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস ৫৪ দশতিক ৩০ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন।
আর উত্তরের বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ১৭ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং দক্ষিণের বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন ১৮ দশমিক ৭০ শতাংশ লোক ভোট দিয়েছেন। তবে উত্তরে ২৫ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং দক্ষিণে ১৬ দশমিক ৮০ শতাংশ ভোটার এখনও সিদ্ধান্ত নেননি।
জরিপের ফল প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টায় জয় ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এর মেয়র নির্বাচন নিয়ে আমরা সাম্প্রতিক সময়ে একটি জনমত জরিপ করিয়েছিলাম। উত্তরের ভোটারদের মধ্যে জরিপে অংশ নেন ১ হাজার ৩০১ জন ও দক্ষিণে অংশ নেন ১ হাজার ২৪৫ ভোটার। ভোটার লিস্ট থেকে রেন্ডম স্যাম্পলিং এর মাধ্যমে তাদের বাছাই করা হয়। জরিপটি করা হয় সামনাসামনি, অর্থাৎ অনলাইনের মাধ্যমে নয়। মক ব্যালট এর মাধ্যমে এই জরিপটি করার কারণে আমরা বা জরিপকারী কারোরই জানার সুযোগ থাকে না কে কাকে ভোট দিলো।
তিনি আরও লিখেছেন, জরিপ করার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও নির্ভুল পদ্ধতি এটি। নির্ভয়ে, নির্দ্বিধায় মানুষ জরিপে অংশগ্রহণ করতে পারে। তারপরেও যারা কোনো অপশনই বেছে নেয় না তাদের ভোট দেয়ার সম্ভাবনাই কম কারণ সাধারণত কোনো নির্বাচনেই ১০০ শতাংশ ভোট পরে না। এই জরিপের ফলাফল ভুল হওয়ার সম্ভাবনা +-৩ শতাংশ।
জয় জানান, জরিপটি করা হয় যখন দলগুলো তাদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে। তাই জরিপের সাথে আসল ফলাফলের কিছুটা পার্থক্য হতেই পারে। তারপরেও সেই পার্থক্য ৫-১০ শতাংশ এর বেশি হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম। কারণ মাত্র এক মাসের ব্যবধানে ১০ শতাংশ এর বেশি ভোট কোনো দলের পক্ষেই পরিবর্তন করে নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসা কঠিন। তাই এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিজয় শুধু নিশ্চিতই নয়, ব্যাপক ব্যবধানে জয়ও নিশ্চিত।