সরকারি প্রতিষ্ঠানের ইংরেজিপ্রেম বেশি!
- ফয়সাল খান
- প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১১:৪৯ AM , আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:৪১ PM
ভাষার মাস এলেই বাংলা ব্যবহারে সোচ্চার হয় সব পক্ষ। সাইনবোডের্ বাংলা ব্যবহার না করার দায়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়। এমনকি এই অপরাধে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড । অথচ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো হরহামেশায় নিজেদের নামে ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করছে। এগুলো দিন দিন মানুষের মুখে মুখে পরিচিত হয়ে যাচ্ছে। যা বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির জন্য হুমকি স্বরূপ।
বাংলায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন লেখা থাকলেও তার সংক্ষিপ্ত রূপ ডিএনসিসি। অথার্ৎ ঢাকা নথর্ সিটি করপোরেশন। ঠিক একই পদ্বতিতে নাম ব্যবহার করছে রাজধানীর দক্ষিণ অংশের নাগরিক সেবাদানকারী সংস্থা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনও (ডিএসসিসি)। তাদের বিভিন্ন দাপ্তরিক কাগজপত্রসহ সাইনবোডর্ ও বিজ্ঞপ্তিতে নিজেরাই ইংরেজি নামের সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহার করছে। অথচ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাইনবোডর্-বিলবোডের্র পরিচিতিতে বাংলা ভাষা নিশ্চিত করার দায়িত্ব এই দুটি প্রতিষ্ঠানের উপরই ন্যস্ত।
গত কয়েক বছর ধরে ফেব্রুয়ারি মাস এলেই ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযান পরিচালনা করে আসছে সংস্থা দুটি। বাংলা ব্যবহার না করার দায়ে অনেককেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করে তারা। বাংলা ব্যবহার না করার অভিযোগে কোথাও কোথাও বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয় প্রতিষ্ঠানের পরিচিতিমূলক সাইনবোডর্। কিন্তু এই সংস্থা দুটিসহ বেশিরভাগ সরকরারি প্রতিষ্ঠানই ইংরেজি নামে পরিচিতি পেয়েছে। হরহামেশায় ইংরেজিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামকরণও করছে সরকার।
এর কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীঘির্দনের সংস্কৃতিতে বিদেশি ভাষার ব্যবহার চলে আসছে। ফেব্রুয়ারি মাস এলেই ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা সম্মান জানালেও সরকারি দপ্তরে বাংলা ব্যবহারের বিষয়টিকে যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হয় না। তাই সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও বিদেশি ভাষা ব্যবহারের প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা, বিভাগ, দপ্তর, গবেষণা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের নামকরণও ইংরেজিতে হচ্ছে। নিত্যনৈমিত্তক প্রয়োজনে এসব প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে থাকেন সাধারণ মানুষ। এরমধ্যে স্থানীয় সরকারের তৃণমূল পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন পরিষদও ‘ইউপি’ নামেই বেশি পরিচিত। অনেক প্রতিষ্ঠানের বাংলা নাম লেখা থাকলেও এগুলোর সংক্ষিপ্ত রূপ দেয়া হয়েছে ইংরেজিতে। অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন- বিআইডব্লিউটিসি, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-ইউজিসি (ইউনিভাসিির্ট গ্রান্ডস কমিশন), জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোডর্- এনসিটিবি, নগর উন্নয়ন অধিপ্তর- ইউডিডি, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন- বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটেরি কমিশন), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআর (ন্যাশনাল বোর্ড অব রেভিনিউ), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন- বিআরটিসি, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কতৃর্পক্ষ- ডিটিসিএ (ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অডিের্নশন অথরিটি), বাংলাদেশ রোড-ট্রান্সপোর্ট অথরিটি- বিআরটিএ উল্লেখযোগ্য।
রাজধানীর পানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটির মূল নাম ইংরেজিতে। বাংলায় কখনো এই প্রতিষ্ঠানের নাম কেউ শুনেছেন বলে জানেন না খোদ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ইংরেজি নামের সংক্ষিপ্ত রূপ ‘ওয়াসা’। মূল নাম ‘ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড সুয়্যারেজ অথরেটি’র সংক্ষিপ্ত রূপ হিসেবে কোথাও ‘ঢাকা ওয়াসা’ আবার কোথাও শুধুমাত্র ‘ওয়াসা’ ব্যবহার করে সংস্থাটি। গণপূর্ত বিভাগের নাম বাংলায় হলেও একে পিডব্লিউডি (পাবলিক ওয়াকর্স ডিপাটের্মন্ট) বলা হয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড- বিসিবি নামেই পরিচিত। দেশের জনপ্রিয় ক্রিকেট লীগের নাম বিপিএল বা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগও ইংরেজিতে।
দেশের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের নামটিও ইংরেজিতে- বিটিভি (বাংলাদেশ টেলিভিশন)। এর অনুসরণ করে অন্যান্য বেসরকারি বেশিরভাগ টেলিভিশনের নামও ইংরেজিতে রাখা হয়েছে। সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ), বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড), বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই), বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি), বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএল আর আই), বাংলাদেশ বন গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিএফআরআই), বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর), বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসি), বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক), সার্ক কৃষি তথ্য কেন্দ্র (এসএসি), পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ), ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অগার্নাইজেশন (এনপিও), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কপোের্রশন (বিএডিসি), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি), বাংলাদেশ কৃষি গবষেণা ইনস্টিটিউট (বারি), বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি), বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই), বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএসআরআই), তুলা উন্নয়ন বোর্ড (সিডিবি), জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমি (নাটা), বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি (এসসিএ), বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কতৃর্পক্ষ (বিএমডিএ), মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (এসআরডিআই) অন্যতম।
তাছাড়া দেশের উন্নয়নে সরকারিভাবে যেসব বড় প্রকল্প গ্রহণ করা হয়, তার বেশিরভাগেরই নাম থাকে ইংরেজিতে। বতর্মান সময়ের আলোচিত মেট্রো রেল প্রকল্পের নাম- ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভলেপমেন্ট প্রজেক্ট। যার সংক্ষিপ্ত রূপ ‘এমআরটি’। সড়ক পথের অপর বড় প্রকল্প বাস র্যাপিড ট্রানজিট, যা ‘বিআরটি’ নামে পরিচিত। তাছাড়া সরকারের বড় প্রকল্পগুলোর পাশাপাশি সংস্থাগুলোর উদ্যোগে নেয়া বেশিরভাগ প্রকল্পের নামও ইংরেজিতে রাখা হয়।
এসব প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের দাবি, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চলতে এমন হয়ে যায়। আবার অনেকেই নিজের অজান্তে এমন নাম ব্যবহার করছেন। কিন্তু এসব ইংরেজি নাম দিনদিন মানুষের মুখে মুখে বেশ পরিচিত পাচ্ছে। কথায় কথায় এসব সংক্ষিপ্ত নাম ব্যবহার করছে সবর্স্তরের মানুষ। যা বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির জন্য মারাত্মক হুমকি। এতে ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি অসম্মান করা হচ্ছে বলে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকার একটি সিটি করপোরেশনের প্রধান নিবার্হী ও উপ-সচিব মযার্দার কমর্কর্তা বলেন, প্রতি বছরই বাংলা ব্যবহার নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালানো হয়। এবারো চালানো হয়েছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। নিজেদের সংস্থার নামে ইংরেজি শব্দ ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইংরেজি হরফ হলেও সব জায়গায় বাংলা লেখা হয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি এভাবে ভেবে দেখিনি।’
ইংরেজি নামে সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহারকারীদের যুক্তি হলো- সহজে সবার কাছে পরিচিতি পায়। লিখতে বা বলতেও সহজ হয়। তবে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান বাংলা ব্যবহারের মাধ্যমেই বেশ পরিচিতি পেয়েছে। যেমন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে), রাজধানী উন্নয়ন কতৃর্পক্ষ (রাজউক), চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক), রংপুর সিটি করপোরেশ (রসিক), সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক), গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) এরমধ্যে অন্যতম। এসব প্রতিষ্ঠান বাংলা নামেই স্থানীয় ও জাতীয়ভাবে বেশ খ্যাতি অজর্ন করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি সংস্থাগুলোর নামে বাংলা ভাষা ব্যবহার নিশ্চিত না করলে সবর্স্তরে বাংলা ব্যবহারের যে দাবি তা কোনোদিনও পূরণ হবে না। যে কারণে ভাষা আন্দোলন হয়েছিল তার উদ্দেশ্য পুরোপুরি ব্যাহত হবে। মানুষের মুখে মুখে বিদেশি শব্দ ছড়িয়ে যাবে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হুমকির মুখে পড়বে বাংলা শব্দ, যা জাতি সত্তার মৌলিক উপাদানের উপর হুমকি স্বরূপ।
এ প্রসঙ্গে আলাপকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, বিষয়টি এক ধরনের মানসিক দাসত্ব। সদিচ্ছা থাকলেই সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলা নাম ব্যবহার করতে পারে। যেমনটি করেছে রাজউকসহ আরও বেশকিছু প্রতিষ্ঠান। মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত এসব প্রতিষ্ঠানের নাম বাংলায় না হলে ভাষা ও সংস্কৃতি মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়বে বলে মনে করেন তিনি।
একই বিষয়ে বাংলা একাডেমির মাহাপরিচালক কবি হাবিবুল্লাহ্ সিরাজী বলেন, যে কোনো প্রতিষ্ঠান এমন কাজ (অন্য ভাষায় নাম ব্যবহার) করলে বিধি ভঙ্গ হয়। এর জন্য শাস্তি হওয়া উচিত। তবে এ বিষয়ে বাংলা একাডেমির করার কিছুই নেই বলে জানান তিনি।
এদিকে, কেবল ফেব্রুয়ারি মাস এলেই সবর্স্তরে বংলা ব্যবহারে স্বোচ্চার হয় সব পক্ষ। প্রতিষ্ঠানগুলোর সাইনবোডের্ বাংলা লেখা নিশ্চিত করতে অভিযানও চালায় বিভিন্ন সংস্থা। তবে ফেব্রুয়ারি মাস চলে গেলে এসব অভিযান প্রায় সারা বছর বন্ধ থাকে।
গত ২৬ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় ‘ঢাকা উত্তর সিটি কপোের্রশনের (ডিএনসিসি) নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ারের নেতৃত্বে আজ দুপুর ১টা থেকে দুপুর ৩টা পযর্ন্ত রাজধানীর বনানীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে সাইনবোর্ড বাংলা ভাষায় না লেখা এবং অবৈধভাবে এলইডি চালানোর অপরাধে বনানী-১১ নম্বর সড়কের ১০টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে লিটল এঞ্জেলস, প্রেট ইন্টারন্যাশনাল, বিএফসি, গিঞ্জা, ফিট এলিগেন্স, এঞ্জেলা, মুন্স, আনজারা, রিয়েল থাই ও লেদারেক্স। তাছাড়া বিএফসি, রিয়েল থাই ও লেদারেক্স এর সাইনবোর্ড তাৎক্ষণিকভাবে অপসারণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, মহামান্য হাইকোটর্ বিভাগের ১৬৯৬/২০১৪ নং রিট পিটিশনে প্রদত্ত আদেশ অনুযায়ী সকল প্রতিষ্ঠানের (দূতাবাস, বিদেশি সংস্থা ও তৎসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র ব্যতীত) নামফলক, সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার ইত্যাদি বাংলায় লেখা বাধ্যতামূলক। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে হাইকোটের্র আদেশটি ডিএনসিসি এলাকায় নিশ্চিত করার দায়িত্ব ডিএনসিসি কতৃর্পক্ষকে দেয়া হয়।
এ প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের শুরুতে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে ডিএনসিসির এখতিয়ারাধীন এলাকার যেসব প্রতিষ্ঠানের (দূতাবাস, বিদেশি সংস্থা ও তৎসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র ব্যতীত) নামফলক, সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার ইত্যাদি বাংলায় লেখা হয়নি তা অবিলম্বে স্ব-উদ্যোগে অপসারণ করে ৭ দিনের মধ্যে বাংলায় লিখে প্রতিস্থাপন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। তাছাড়া মাইকিং, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রেস রিলিজ প্রেরণসহ ডিএনসিসি-র ওয়েবসাইট এবং ফেইসবুক পাতায়ও গণবিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়। তখন প্রায় সব কয়টি প্রধান প্রধান জাতীয় দৈনিকে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। হাইকোর্ট এর আদেশ এবং ডিএনসিসির গণবিজ্ঞপ্তি বাস্তবায়ন না করার অপরাধে স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন ) আইন ২০০৯ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা করা হয়।’