পাবনায় জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর, অভিযোগ বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পাবনা সদর উপজেলার হিমাইতপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে
পাবনা সদর উপজেলার হিমাইতপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে  © সংগৃহীত

পাবনায় জামায়াতে ইসলামীর একটি কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও গুলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের নেতা–কর্মীরা। এ ঘটনায় আজ রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ৩ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের যুব বিভাগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এতে বিএনপির স্থানীয় কয়েকজন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।

জামায়াতের নেতা–কর্মীরা অভিযোগ করেন, শনিবার রাতে সদর উপজেলার হিমাইতপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। বেশ কিছুদিন ধরেই জমি নিয়ে স্থানীয় জামায়াত নেতা আবদুল্লাহ করিমের সঙ্গে জেলা সদরের মালিগাছা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলীর লোকজনের বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গতকাল বিকেলে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে রাত ১০টার দিকে জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা করা হয়। হামলাকারী ব্যক্তিরা কয়েকটি দোকানপাট, জামায়াতের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় ও একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়।


জামায়াত নেতা আবদুল্লাহ করিম অভিযোগ করেন, গত ৫ আগস্ট থেকেই মালিগাছা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলীর নেতৃত্বে দখলদারি ও আধিপত্য বিস্তার চলছিল। তার নির্দেশেই নিজেদের শক্তি জানান দিতে জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়েছে। গতকাল রাত ১০টার দিকে ২৫–৩০ জন অস্ত্রধারী পিস্তল, বন্দুক, রামদা, চায়নিজ কুড়াল নিয়ে হিমাইতপুর ইউনিয়নের কুমারগাড়ি স্থানীয় জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে। তারা একটি মুদিদোকান ভাঙচুর করে লুট করে। এ ছাড়া অটোরিকশার গ্যারেজ ও জামায়াত নেতা আবদুল করিমের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পাশে থাকা একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে চলে যায়।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি নেতা ইয়াকুব আলী বলেন, ‘এ ঘটনা আমি মোটেও জানি না। ঘটনার সময় থানার ওসি সাহেবের ফোন পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দিই। এর বেশি কিছু জানা নেই। রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে আমার ওপর মিথ্যা দায় চাপানো হচ্ছে। আমি এর প্রতিবাদ করছি।’

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা ও ভাঙচুরের তথ্য পাওয়া গেছে। তবে গুলির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ