তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি ইবি শিক্ষার্থীদের
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৫ PM , আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২১ PM
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সব আন্তর্জাতিক নদীর ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) রংপুর বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ সময় বাঁধ খুলে দিয়ে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির প্রতিবাদ জানান তারা। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস ঘুরে একই স্থানে এসে সমাবেশ করেন তারা। এ সময় শিক্ষার্থীরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গজলডোবা বাঁধ খুলে দিয়ে রংপুরের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির প্রতিবাদ জানান। সমাবেশে জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন, জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের ইনজামুল হক সজল, রংপুর বিভাগের অন্তর্গত বিভিন্ন জেলার ছাত্রকল্যাণ সমিতির নেতা ও ইবি সমন্বয়ক পরিষদের সদস্যসহ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের হাতে ‘জেগেছে রে জেগেছে, উত্তরবঙ্গ জেগেছে’, ‘দাবি মোদের একটাই, তিস্তার স্থায়ী সমাধান চাই’, ‘উত্তরবঙ্গ কি দেশের বাইরে’, ‘এক দফা এক দাবি, তিস্তা মহাপরিকল্পনা সময়ের দাবি’, ‘ত্রাণ নয়, স্থায়ী সমাধান চাই’, ‘তিস্তার পানি বণ্টন চাই’, ‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হোক’, ‘উত্তরে কান্না, চুপ কেন বাংলা’ ইত্যাদি লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন দেখা যায়।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ভারত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিভিন্ন সময়েই আন্তর্জাতিক নদীর বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। বাঁধ খুলে দেওয়ার আগে কোনো সতর্কতাও দেওয়া হয় না। তাই আমরা দ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানাই। ভারতের সঙ্গে সব আন্তর্জাতিক নদীর ন্যায্য হিস্যা চাই।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ বি এম জাকির হোসেন বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সব অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে জানে। তারা কখনো অন্যায় মেনে নেয় না। আন্তর্জাতিক নদী নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের অন্যায় বাংলাদেশের মানুষ মেনে বেবে না। আমরা ভারতের কাছে নদীর পানির ন্যায্যতা চাই। আমরা নদীর পানি ছেড়ে বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরির তীব্র নিন্দা জানাই।
আরো পড়ুন: ফের সাজেক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বাড়লো
শহিদ জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বলেন, উত্তরবঙ্গে মানুষ বন্যায় হাবুডুবু খাচ্ছে। খাদ্যহীন, আবাসনহীন মানুষ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। ভারত এভাবে বারবার বাধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে পানিতে ভাসিয়ে দিচ্ছে। উত্তরবঙ্গের মানুষকে বারবার এভাবে নিষ্পেষিত করা হয় তাহলে উত্তরবঙ্গের মানুষ ছেড়ে দেবে না।
বক্তারা আরো বলেন, গত সরকারের চাটুকারিতার কারণে তিস্তার চুক্তি হয়নি। তাদের ভারতপ্রীতির কারণে পানির নায্য হিস্যা আদায় করতে পারেনি। যেকোনো চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া হোক। আর পানি বণ্টন চুক্তি এবং আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করার অপরাধে ভারতকে শাস্তির আওতায় আনা হোক। এরপর যদি সারাদেশে নামতে হয়, তবে সারাদেশেই রাজপথে নামবেন বলে জানান তারা।