বন্যায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ১১ লাখ গ্রাহক

বন্যায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ১১ লাখ গ্রাহক
বন্যায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ১১ লাখ গ্রাহক  © ফাইল ছবি

দেশের বন্যাকবলিত ১১ জেলায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছেন প্রায় ১০ লাখ ৯৭ হাজার ৯৬ জন গ্রাহক। এছাড়াও বিদ্যুৎ না থাকায় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সেবাও ব্যাহত হচ্ছে এসব এলাকায়। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ফেনী জেলায়। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি কুমিল্লা, নোয়াখালী, কক্সবাজার, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, বি-বাড়িয়া, মৌলভীবাজার জেলায় বন্যাজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন স্থানে সেবা প্রদান ব্যাহত হচ্ছে এবং ফেনীর সকল উপকেন্দ্র বন্ধ আছে। মোবাইলে যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ায় ফেনীর ক্ষয়-ক্ষতির তথ্য নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি বলেও জানানো হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে।

গ্রাহক সেবা বিচ্ছিন্ন হওয়ার পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতিও নিরুপণের চেষ্টা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে বন্যা কবলিত এসব জেলায় এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ৭ কোটি পঁচানব্বই লক্ষ নব্বই হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানানো হয়েছে একই বিজ্ঞপ্তিতে।

আরও পড়ুন: বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু, ৯ লাখ পরিবার পানিবন্দি

তবে বন্যাকালীন ও বন্যা পরবর্তী সময়ে গৃহীত গ্রাহকদের সেবাদানে পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড। সরকারি এ সেবা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—বন্যার সময় প্লাবিত এলাকায় দুর্ঘটনা রোধে প্রতিপালনীয় বিষয়ে সকল সমিতিতে পত্র প্রদান, বন্যাকালীন সময়ে সমিতির সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের নিমিত্ত বিআরইবি’র সদর দপ্তর ও বন্যা কবলিত সমিতিসমুহে ২৪/৭ কন্ট্রোলরুম চালু, বন্যা পরবর্তী বিতরণ সিস্টেম পূর্ণবহালকালে দুর্ঘটনা রোধে প্রতিপালনীয়/অনুসরণীয় বিষয়ে করণীয় এবং পুনর্বহাল কাজ দ্রুততার সাথে সম্পাদনের নিমিত্ত মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় জনবল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ভারতীয় ঢল আর ভারী বৃষ্টিতে বন্যা কবলিত হয়েছে দেশের ১২টি জেলা।  ভারী বৃষ্টিপাত ও প্রবল স্রোতের কারণে বন্যার পানিতে ডুবে, পাহাড় ধসে ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সোমবার (১৯ আগস্ট) থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৩ জন মারা গেছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও দুজন। গত বুধবার (২১ আগস্ট) থেকে ফেনীসহ আট জেলায় হঠাৎ বন্যা দেখা দেয়। তবে তার কয়েকদিন আগে থেকেই ভারী বৃষ্টি হচ্ছে অনেক জেলায়। এরপর বাঁধ ভেঙে ও বাঁধ উপচে বৃহস্পতিবার আরও চার জেলার অনেক জায়গা তলিয়ে যায়।


সর্বশেষ সংবাদ