১৫-২০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের পক্ষে মত গোলাম রাব্বানীর

গোলাম রাব্বানী
গোলাম রাব্বানী  © ফাইল ফটো

সরকারি চাকরির নিয়োগে ১৫-২০ শতাংশ কোটা রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক জিএস গোলাম রাব্বানী। তিনি মুক্তিযোদ্ধা, জেলা, নারী, প্রতিবন্ধী, উপজাতিসহ সব ধরনের কোটা সংরক্ষণের তাগিদ দিয়েছেন। এক ফেসবুক পোস্টে রাব্বানী নিজের এমন অভিমত তুলে ধরেন।

রাব্বানী ফেসবুকে লিখেন, কোটা বাতিলের নির্বাহী সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত পরিপত্রকে অসাংবিধানিক উল্লেখপূর্বক তা অবৈধ ঘোষণা করে মহামান্য হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাজপথে যে আন্দোলন করছে, বলা বাহুল্য। তাতে দেশব্যাপী জনজীবনে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, হাইকোর্ট বিভাগের ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করলে গত ৯ জুন প্রাথমিক শুনানির পর আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানো হয়। যেহেতু বিষয়টি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন, তাই রায়ের আগে সরকারের আদতে তেমন করণীয় কিছু নেই।

রাব্বানী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছিলেন। ২০১৩ সালে তার স্নাতকোত্তর শেষ হয়। এরপর এমফিলে ভর্তি হয়ে ২০১৯ সালের ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন। ওই নির্বাচনে জিএস নির্বাচিত হন তিনি।

আইনের সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায় নিয়ে বলেন, বিচারিক দীর্ঘসূত্রিতা এড়িয়ে দ্রুততম সময়ে সংকট নিরসনে মাননীয় প্রধান বিচারপতি আপিল বিভাগের একজন জ্যেষ্ঠ বিচারপতির নেতৃত্বে হাইকোর্ট বিভাগের একাধিক বিচারপতি ও অ্যাটর্নি জেনারেল মহোদয়ের সমন্বয়ে একটি ‘বিচারবিভাগীয় কমিটি’ গঠন করে দিতে পারেন।

‘‘যে কমিটি ৭-১০ কার্যদিবসের মধ্যে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী, রিটকারী, পিএসসি, জনপ্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা ও পরামর্শপূর্বক বাস্তবতার নিরিখে ‘কোটা পদ্ধতি সংস্কার’ নিয়ে প্রধান বিচারপতির নিকট সুপারিশ প্রদান করতে পারেন। যার আলোকে কোটা পদ্ধতি নিয়ে একটি সর্বজনগৃহীত বিচারবিভাগীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।’’

সরকারি চাকরির নিয়োগে কোটা সংরক্ষণে নিজের অভিমত জানিয়ে রাব্বানী লিখেন, আমার একান্ত ব্যক্তিগত অভিমত, উন্নত বিশ্বে যেমন আমেরিকা ৮%, জাপান ৫%, চীন ১.৫% কোটা বিদ্যমান। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে সার্বিক বিবেচনায় বিসিএসসহ সকল সরকারি চাকরিতে মুক্তিযুদ্ধ, জেলা, নারী, প্রতিবন্ধী, উপজাতিসহ সব ধরনের কোটা মিলিয়ে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ ১৫%- ২০% কোটা যুক্তিযুক্ত হবে।


সর্বশেষ সংবাদ