মেয়েকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করতে গিয়ে জানলেন নিজেই মৃত

মেস্তী মঈন উদ্দিন
মেস্তী মঈন উদ্দিন  © সংগৃহীত

মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করতে গিয়ে এক অভিভাবক জানতে পারেন তিনি আর বেঁচে নেই। এমনই হতভম্ব হওয়ার ঘটনা ঘটেছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের কবিরপুর গ্রামের বাসিন্দা মেস্তী মঈন উদ্দিনের সাথে। 

মঈন উদ্দিন জানান, সম্প্রতি পৌরসভার শেরপুর এলাকার হাজী আবদুর রশিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মেয়েকে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি করতে নিয়ে যান তিনি। এসময় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, তিনি আর বেঁচে নেই– এমনটিই বলছে অনলাইনে নিবন্ধিত তথ্য। 

জানা গেছে, বিদ্যালয়ের অনলাইনে ভর্তি ফরম রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে মঈন উদ্দিনের জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য যাচাই করতে অনলাইনে নিবন্ধিত তথ্য খুঁজে দেখা হয়। একপর্যায়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, অনলাইনের তথ্য অনুযায়ী মঈন উদ্দিন মৃত। তাঁর তথ্য সংশোধন করতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে মেয়ের ভর্তি নিয়ে বিপাকে পড়েন তিনি।

মঈন উদ্দিন বলেন, ‘আমার শিশুকন্যাকে স্কুলে ভর্তি করতে গিয়ে জানতে পারি, অনলাইনে আমার পরিচয়পত্রে আমাকে মৃত দেখাচ্ছে। এ কথা শুনে আমি অবাক হয়ে যাই। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সংশোধন করার জন্য বলেছেন। এ জন্য আমি স্থানীয় নির্বাচন অফিসে এসেছি সংশোধনের জন্য। রবিবার আবেদন করেছি।’

জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান জানান, ভোটার হালনাগাদকালে তথ্যদাতার তথ্য অনুযায়ী ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করা হয়েছে। তথ্যের ভুলের কারণে এ রকম রয়েছে। বিষয়টি সংশোধনের আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী।


সর্বশেষ সংবাদ