প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর হাতে অপহৃত দেলোয়ারকে সিংড়ার চেয়ারম্যান ঘোষণা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২৩ PM , আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪১ PM
নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর হাতে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হওয়া দেলোয়ার হোসেনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার সভাকক্ষে উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ শেষে তাকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল লতিফ শেখ।
এর আগে সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লুৎফুল হাবিব রুবেল ও দেলোয়ার হোসেনের মনোনয়নপত্র দাখিলের প্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই শেষে দুই প্রার্থীরই মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
পরবর্তীতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অপহরণ ও মারধরের অভিযোগ ওঠে সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এবং সিংড়ার সংসদ সদস্য ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেলের বিরুদ্ধে। এরই প্রেক্ষিতে গত রোববার তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। এরপর আজ দেলোয়ার হোসেনকে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অপহরণের সত্যতা বিবেচনায় লুৎফুল হাবীবকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিল উপজেলা আওয়ামী লীগ। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলা আওয়ামী লীগের জরুরি বর্ধিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের ভেতর থেকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে মারধর করতে করতে একটি কালো মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এর পাঁচ ঘণ্টা আগে তার ভাইসহ এক আওয়ামী লীগ নেতাকে একই এলাকা থেকে একইভাবে তুলে নিয়ে যায়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রার্থী দেলোয়ারকে তার গ্রামের বাড়ির সিংড়ার কলম ইউনিয়নের পারসাঐল গ্রাম সামনে ফেলে রেখে যায় মাইক্রোবাসটি। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ওই দিন রাতে দেলোয়ার হোসেনের ভাই মুজিবর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পরের দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার হওয়া সুমন আহমেদ জবানবন্দিতে প্রতিপক্ষ প্রার্থী লুৎফুল হাবীবের পক্ষ নিয়ে দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণের কথা স্বীকার করেন।