বইমেলায় নতুন চ্যালেঞ্জ মেট্রোরেল: ডিএমপি কমিশনার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৭ PM , আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫৩ PM
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, এবারের বইমেলা ঘিরে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে জঙ্গিবাদ-মৌলবাদ, চুরি-ছিনতাই ও অগ্নিকাণ্ড। একইসঙ্গে আরেকটি নতুন চ্যালেঞ্জ মেট্রোরেলে নাশকতা। এসব বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েই অমর একুশে বই মেলাঙ্গন ঘিরে পুলিশ পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। গতকাল রোববার সকালে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আসন্ন বইমেলার সার্বিক নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা ও ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) বিপ্লব কুমার সরকার পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বইমেলার সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। পরে অমর একুশে বইমেলা-২০২৪ এর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমন্বয় সভায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি, গণপূর্ত অধিদপ্তর, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা ওয়াসা, বাংলা একাডেমি, ফায়ার সার্ভিস, ডিপিডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ এবং ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ মতামত প্রদান করেন।
সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে হাবিবুর রহমান বলেন, প্রতি বছরই অমর একুশে বইমেলার আয়োজন করে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অমর একুশে বইমেলা-২০২৪ উদ্বোধন করবেন। ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে চলবে অমর একুশে বইমেলা। এই বইমেলাকে ঘিরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, বইমেলাকে কেন্দ্র করে আমাদের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে জঙ্গিবাদ-মৌলবাদ, চুরি-ছিনতাই, অগ্নিকাণ্ড এবং সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনা। নতুন আরেকটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মেট্রোরেল। কারণ আমরা দেখেছি নাশকতাকারীরা মেট্রোরেলেও নাশকতা করার চেষ্টা করেছে।
ডিএমপি প্রধান বলেন, প্রত্যেক দর্শনার্থীকে আর্চওয়ে দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে হবে। বইমেলার ভিতরে ও বাইরে পর্যাপ্ত সংখ্যক সাদা পোশাকে ও ইউনিফর্মে পুলিশ ডিউটিতে নিয়োজিত থাকবে। সিসিটিভি দিয়ে মেলার ভিতরে ও চারপাশে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হবে। নিরাপত্তা প্রদানে থাকবে ওয়াচ টাওয়ার, ফায়ার টেন্ডার। থাকবে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা। অনুষ্ঠানস্থল সমূহ সুইপিং করা, সাদা পোশাকে বিশেষ টিম মোতায়েন, বিলবোর্ড, ব্যানার ও মাইকিং করে দিকনির্দেশনা প্রদান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটরিং, মেলা প্রাঙ্গণ ড্রোন দ্বারা মনিটরিং করা হবে এবং সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোজাল টিম স্ট্যান্ডবাই থাকবে।