ইশতেহারে আওয়ামী লীগের অগ্রাধিকার কর্মসংস্থান সৃষ্টি

লোগো
লোগো  © ফাইল ছবি

নির্বাচনের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। এর মাঝে নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলো নিজের মার্কা নিয়ে শহর-নগর চষে বেড়াচ্ছেন। ভোট চাচ্ছেন, দিচ্ছেন বিভিন্ন প্রতিশ্রিুতিও। এর মাঝে নির্বাচনে অংশ নেওয়া একাধিক দল তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণাও করেছেন। আগামী বুধবার ঢাকার একটি হোটেলে দলীয় ইশতেহার ঘোষণা করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনকে মূল ভিত্তি ধরে কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আগামী নির্বাচনের ইশতেহার তৈরি করছে দলটি। চলমান অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার পাশাপাশি সুশাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়টি এ ইশতেহারে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। অগ্রাধিকার পাচ্ছে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির বিষয়টিও।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ এবার পুস্তিকার বদলে ম্যাগাজিন আকারে ইশতেহার ছাপাবে। আওয়ামী লীগ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানো এবং কৃষিকাজ ও কৃষি প্রক্রিয়াকরণে বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিতে পারে।

নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জবাবদিহিতা এবং সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ নির্মূলও তাদের এজেন্ডায় থাকবে। প্রশাসনে দুর্নীতি, অবৈধ সম্পদ, ঘুষ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের প্রতিশ্রুতি দেবে দলটি। সব স্তরে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসনের বিষয়টিও ইশতেহারে গুরুত্ব পেতে পারে।

তবে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের খসড়া তৈরির সঙ্গে জড়িত একাধিক নেতা জানিয়েছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য। দলটি আগামী পাঁচ বছরে দেড় কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারে, যা গত বছরের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে গৃহীত ঘোষণায়ও উল্লেখ করা হয়েছিল।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে বেকারত্বের হার ছিল তিন দশমিক ৫৩ শতাংশ। আবারও ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের লক্ষ্য হবে এই হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকার কৃষি, শিল্প, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামো খাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ নিশ্চিত করবে।

আগামী ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের ইশতেহারের খসড়া তৈরির সঙ্গে জড়িত একাধিক নেতা জানিয়েছেন, নতুন ইশতেহারটি দলের ২০২২ সালের ঘোষণার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।

ইশতেহার প্রণয়ন উপকমিটির সদস্য সচিব এবং আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ জানিয়েছেন, অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা, নতুন প্রজন্মকে গড়ে তোলা এবং তাদের কর্মসংস্থানের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতগুলো গুরুত্ব পাবে। সেভাবেই ইশতেহার তৈরির কাজ চলছে।


সর্বশেষ সংবাদ