গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবর্তে ভিন্নমত দমনে ব্যস্ত সরকার: ইউট্যাব

ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)
ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)  © ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, চেয়ারপাাসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকনসহ বিএনপির ১৫ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় ৪ বছর করে সাজা দেওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। 

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগ জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান  এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান বিনাভোটের সরকার এতটাই বেপরোয়া হয়েছে যে, তারা এখন বিরোধী মতের কোনো ব্যক্তির ছায়া দেখলেও ভয় পায়। তারা রাষ্ট্রের সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের করায়ত্ত্ব করতে উঠেপড়ে লেগেছে। এক্ষেত্রে নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য আইন-আদালত, প্রশাসনসহ সকল ক্ষেত্রে বেআইনী প্রভাব বিস্তারে মেতে উঠেছে সরকার। অবৈধ আওয়ামী সরকার এখন দেশব্যাপী বিএনপিসহ ভিন্নমতের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে।

ইউট্যাবের নেতৃদ্বয় বলেন, আজকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে গোটা দেশবাসী যখন ঐক্যবদ্ধ তখন তাদেরকে ভয় পাইয়ে দিতে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামালা দায়ের ও সাজা প্রদান অব্যাহত রেখেছে সরকার। দেশের মানুষ বাঁচলো কি মরলো সেদিকে তাদের নজর নেই। তাদের নজর কেবল লুটপাট ও বিরোধী দলকে নানাভাবে নানা কায়দায় দমন করে ক্ষমতার সিংহাসন টিকিয়ে রাখা। 

আরও পড়ুন: চিকিৎসকদের ‘সার্বক্ষণিক নিবিড় পর্যবেক্ষণে’ খালেদা জিয়া

আমরা মনে করি যে, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম এবং গ্রাম সরকার বিষয়ক সহ-সম্পাদক বেলাল আহমেদসহ ১৫ জন নেতাকর্মীকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় ৪ বছর করে সাজা প্রদান করা হয়েছে।

নেতৃদ্বয় বলেন, এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, ক্ষমতাসীন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী অবৈধ জনবিচ্ছিন্ন সরকার একের পর এক গণবিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। তারা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবর্তে ভিন্নমত দমনেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।  অবিলম্বে উল্লিখিত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার করে তাদের সাজা বাতিল এবং অবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানান ইউট্যাবের শীর্ষ দুই নেতা।


সর্বশেষ সংবাদ