মানববন্ধনে তথ্য অধিকারের দাবি টিআইবি ও সনাকের  

তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে টিআইবি ও সনাকের মানববন্ধন
তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে টিআইবি ও সনাকের মানববন্ধন  © টিডিসি ফটো

দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় জনগণের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) চট্টগ্রাম মহানগর।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে টিআইবি’র উদ্যোগে ‘তথ্যের অবাধ প্রবাহে ইন্টারনেটের গুরুত্ব’ শীর্ষক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।

টিআইবির এরিয়া কোর্ডিনেটর তৌহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সনাক-টিআইবি চট্টগ্রাম মহানগরে সভাপতি অ্যাডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী, সদস্য প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদারসহ ইয়ুথ এনগেজমেন্ট আ্যান্ড সাপোর্টের (ইয়েস) সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে এডভোকেট আখতার কবির বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের মাঝে একটা প্র‍্যাকটিস গড়ে উঠেছে তা হচ্ছে তথ্য গোপনের সংস্কৃতি। জনগণের যে তথ্য জানার অধিকার আছে তা থেকে তাকে বঞ্চিত করার সংস্কৃতি। আগে মানুষজন সাধারণকে শাসন করতে তথ্য জানতে দিত না। এই প্র‍্যাকটিস এখনো রয়ে গেছে। কিন্তু তথ্য অধিকার আইনের কল্যাণে জনগণের এখন ভোগান্তি কিছুটা কমেছে। সেদিন এক সরকারি কর্মকর্তাকে অকপটে স্বীকার করতে শুনলাম, তথ্য না দেওয়ার জন্য তার পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে। এমন সুন্দর সত্য স্বীকার করায় তাকে ধন্যবাদ। তাই জনগণ যাতে প্রতারিত না হয়, তথ্য জানতে পারে তার জন্য তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। 

দূর্নীতি প্রতিরোধে তরুণদের এগিয়ে আসার আহবান করে তিনি আরও বলেন, তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে জানাতে তরুণদের ভূমিকা রাখতে হবে। আমি মনে করি সবারই উচিত অন্তত তথ্য অধিকার ফর্মটি ডাউনলোড করে রাখা। 

প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, ১৯৭১সালে রক্ত দিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে কেন দেশ স্বাধীন করেছি? স্বাধীন বাংলাদেশেও যদি দূর্নীতি হয় তবে সেখানে স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। কোন প্রশাসন যদি দূর্নীতিকে সমর্থন করে তবে আমরা তার সাথে কোনভাবেই একাত্মতা ঘোষণা করবো না।

উল্লেখ্য, অবাধ তথ্যপ্রবাহ ও তথ্যে অভিগম্যতা নিশ্চিতকরণের উদ্দেশ্য বাংলাদেশ সরকার  তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ পাস করে। তথ্য অধিকার আইনটি সর্বজনীন, ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করে। জনগণকে সব কাজে অংশগ্রহণের অধিকার দেয়।এই আইনে আপিল কর্মকর্তা ও সবশেষে তথ্য কমিশনে অভিযোগ দায়েরের পদ্ধতি রাখা  হয়েছে। তথ্য চেয়ে যথাযথ কর্ম দিবসে না পাওয়ার কারণে দায়ী ব্যক্তিকে জরিমানা, ক্ষতিপূরণের আদেশ করে বিভাগীয় মামলা রুজুর সুপারিশ করার বিধান রাখা হয়েছে। তাই তথ্য অধিকারকে বলা হয় রাইট অফ অল রাইটস।


সর্বশেষ সংবাদ