ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' আতংকে কক্সবাজার ছাড়ছেন পর্যটকরা

ঘূর্ণিঝড় মোখার ভয়ে কক্সবাজার ছাড়ছেন পর্যটকরা
ঘূর্ণিঝড় মোখার ভয়ে কক্সবাজার ছাড়ছেন পর্যটকরা  © সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে উপকূলের দিকে। ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার উপকূল থেকে ৮৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। এজন্য কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি উচ্চতায় ঢেউ আসছে।  ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। এই অবস্থায় দ্রুত কক্সবাজার ছাড়ছেন পর্যটকরা। 

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ শনিবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার ও এর কাছাকাছি উপকূলীয় এলাকায় এই ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব পড়তে পারে। আর আগামীকাল রবিবার সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে এটি কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমারের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। 

শুক্রবার (১২ মে) রাত থেকে পর্যটকদের কক্সবাজার ছাড়তে দেখা গেছে। রাত ১২টার দিকে কলাতলী পয়েন্টের গাড়ি কাউন্টারে পর্যটকরা বলছেন, ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার আসতে না পারায় ৫ দিনের ছুটি নিয়ে পরে বেড়াতে আসলাম। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এখন দ্রুত চলে যেতে হচ্ছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে, তাই বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।

ট্যুর গাইড এসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান বাপ্পি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে পর্যটকরা কক্সবাজার ছাড়ছেন। তিনি জানান, শনিবার সকাল থেকে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়বে কক্সবাজার। জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তায় সমুদ্র সৈকতে পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছি। এটি বাস্তবায়নের জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ ও বিচকর্মীরা মাঠে নেমেছেন।

আরও পড়ুন: ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

এদিকে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেত (পুনঃ) ৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত (পুনঃ) ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ