বরিশালে বিএনপির সমাবেশস্থলে রাতেই নেতাকর্মীদের ঢল, ঘুমাচ্ছেন কম্বল নিয়ে

সমাবেশস্থলে রাতেই নেতাকর্মীদের ঢল
সমাবেশস্থলে রাতেই নেতাকর্মীদের ঢল

বরিশালে বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) থেকেই বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আসতে শুরু করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। সব হোটেল-মোটেল আগে থেকেই বুকিং হওয়ায় অনেকেই মাঠে রাত কাটাচ্ছেন। কাঁথা, কম্বল ও মাধুর নিয়ে মাঠেই বিছিয়েছেন বিছানা।

শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাতে বরিশালের সমাবেশস্থলের বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা যায়, সাধারণ মানুষ একত্রিত হয়ে মাধুর বিছিয়ে ও কম্বল গায়ে জড়িয়ে রাত্রি যাপন করছেন।

বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, এবারের গণসমাবেশে লোকসমাগমে অতীতের রেকর্ড ভেঙে যাবে। দফায় দফায় মিছিল স্লোগান দিয়ে সরগরম করে রাখা হয়েছে সমাবেশস্থল। পুরো উদ্যান ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে ফেলা হয়েছে। দলের শীর্ষ নেতারা বরিশালে অবস্থান করলেও তারা সমাবেশস্থলে আসেননি। 

বিভাগীয় এই গণসমাবেশে যোগ দিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আব্দুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম ডা. জাহিদ হাসান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী সোহেল বরিশালে রয়েছেন। 

ভোলা থেকে সমাবেশে আসা বিএনপিকর্মী আনোয়ার হোসেন জানান, লঞ্চ বন্ধ থাকায় তারা একত্রে আসতে পারেননি। বিভিন্ন উপায়ে ট্রলারে বরিশালে পৌঁছেছেন। নগরীর মধ্যে একত্রিত হয়ে মিছিল করে সমাবেশ মাঠে পৌঁছান তারা।

বরগুনা থেকে আসা মনিরুল ইসলাম নামে বিএনপির এক কর্মী বলেন, আমাদের পথে পথে বাধা দেওয়া হয়েছে, তারপরও আমাদের আটকাতে পারেনি। শুক্রবারের প্রোগ্রাম সফল করেই আমরা এখান থেকে ফিরবো।

উল্লেখ্য, খালেদা জিয়ার মুক্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সংসদকে বিলুপ্ত, সরকারকে পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিতে বিভাগীয় সমাবেশ করছে বিএনপি। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা ও রংপুর বিভাগে গণসমাবেশ করা হয়েছে।

সামনে আরও পাঁচটি গণসমাবেশ ও ঢাকায় মহাসমাবেশ কর্মসূচি রয়েছে দলটির। এর মধ্যে আগামী ৫ নভেম্বর বরিশাল, ১২ নভেম্বর ফরিদপুর, ১৯ নভেম্বর সিলেট, ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী ও ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় এ কর্মসূচি রয়েছে।

 


সর্বশেষ সংবাদ