দ্বাদশ সংসদের রোডম্যাপ ঘোষণা
নভেম্বরে তফসিল, ভোট ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০২:১১ PM , আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০২:১১ PM
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোডম্যাপ অনুযায়ী, ২০২৩ সালের নভেম্বরে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। একই বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ কিংবা পরের বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান এ রোডম্যাপ ঘোষণা করেন। এসময় অন্যান্য কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে রোডম্যাপ সংক্রান্ত ২০ পৃষ্ঠার বই উন্মোচন করা হয়।
নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান বলেন, ‘রোডম্যাপের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন আয়োজন করা। রোডম্যাপ অনুযায়ী, চলতি মাস থেকে নির্বাচন পর্যন্ত কী কী কার্যক্রম চলবে তা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হবে।এ জন্য আগের নীতিমালা পর্যালোচনা করে আগামী বছরের জানুয়ারিতে নতুন নীতিমালা তৈরি করা হবে।’
ইসি কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো ও অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপের সময় সংবিধানের আলোকে যেসব সুপারিশ এসেছে সেগুলো নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার আনিসুর রহমান বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সবার সহায়তা দরকার।’
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়রি একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। সেক্ষেত্রে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে পরের বছর জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন শেষ করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
রোডম্যাপ অনুযায়ী ২০২৩ সালের মার্চে নীতিমালার আলোকে বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় ৩০০ আসনে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে খসড়া প্রকাশ করবে ইসি। নির্বাচনী আইন প্রণয়নের ব্যবস্থা করা হবে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে। এছাড়া একই বছরের আগস্টে খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকার ওপর দাবি আপত্তি নিষ্পত্তি করবে ইসি। ওই বছরের জুনেই নতুন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
আরও পড়ুন : ডাক্তারদের আরও উদার হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
ইসির কর্মপরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে— নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিরীক্ষা, বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা ও সংস্কার, সংসদীয় এলাকার সীমানা নির্ধারণ, নির্বাচন প্রক্রিয়া সময়োপযোগী করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবার পরামর্শ নেওয়া, নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও সরবরাহ।
আরও রয়েছে— বিধিবিধান অনুসরণ করে ভোটকেন্দ্র স্থাপন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সংশ্লিষ্ট সবার সক্ষমতা বৃদ্ধি কার্যক্রম চালু, অধিকতর প্রযুক্তির ব্যবহার, দক্ষ নির্বাচনী কর্মকর্তার প্যানেল তৈরি ও প্রশিক্ষণ, পর্যবেক্ষণ সংস্থা নিবন্ধন ও নবায়ন কার্যক্রম, নির্বাচনী কার্যক্রমে গণমাধ্যমকে আইনি কাঠামোর আওতায় সম্পৃক্তকরণ ও ভোটারদের সচেতনতা বাড়ানোর কার্যক্রম।