কেয়ার মেডিকেলের চেয়ারম্যান অবরুদ্ধ

চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে শিক্ষার্থীরা
চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে শিক্ষার্থীরা   © টিডিসি ফটো

কেয়ার মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ডা. পারভিন ফাতেমাকে কলেজ ভবনের একটি কক্ষে আটকে রেখেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার (২৭ আগস্ট) রাত আটটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। 

বিগত কয়েকদিন ধরে মাইগ্রেশন বা অন্য মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর চেয়ে আন্দোলনে নেমেছেন কেয়ার মেডিকেলে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি মেনে নিচ্ছেনা। এ দাবি নিয়ে কথা বলার জন্য শিক্ষার্থীরা আজ সন্ধ্যার দিকে কলেজের চেয়ারম্যান ডা. পারভিন ফাতেমার সাথে দেখা করতে যান কিন্তু তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা করে কথা বলতে রাজি হননি। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, আমরা চেয়ারম্যানের ম্যাডামের সাথে তার নিজ কক্ষে দেখা করতে গেলে তিনি ভেতর থেকে দরজা আটকে দিয়ে নিজেকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। দরজা বন্ধ করে দিলে শিক্ষার্থীরা তার কক্ষের সামনে অবস্থান নেয়।

আরেক শিক্ষার্থী জানান, আমরা শতাধিক শিক্ষার্থী এখানে অবস্থান নিয়েছি। আমারা কোন প্রকার গোলযোগ না করে এখানে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছি। কিন্তু ম্যাডাম আমাদেরকে রেসপন্স করছেনা। 

আরও পড়ুন: গুচ্ছে গণিতে ৫০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে ৪ হাজার ভর্তিচ্ছু

জানা যায়, ২০১৩ সালে কেয়ার মেডিকেল কলেজ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে চুড়ান্তভাবে অনুমোদন পায়। ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নবায়ন করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও অনুমোদন দেয়।

এর ধারাবাহিকতায় ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করায় বেসরকারি মেডিকেল কলেজটি।

তবে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা-২০১১ এর বাস্তবায়নের শর্ত পূরণ না হওয়ায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কেয়ার মেডিকেল কলেজে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়।

পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ হাই কোর্টে রিট আবেদন করে। এতে সাময়িক বন্ধের উপর স্থগিতাদেশ দেয়।

এর ভিত্তিতে ২০১৭-১৮ থেকে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এইসব শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রেজিস্ট্রেশন পেয়ে এমবিবিএস কোর্সে পড়াশুনা করছেন। কিন্তু বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন না পাওয়া ও তালিকাভুক্ত না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ইন্টার্নশিপ করতে পারছেন না।

এ জটিলতার কারণেই মাইগ্রেশন বা অন্য মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর চেয়ে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কেয়ার মেডিকেলে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) কোনো অনুমোদন নাই। নীতিমালা অনুসারে পর্যাপ্ত ফ্লোরপ্লেস ও অবকাঠামো না থাকার পরও এই মেডিকেলে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো হয়েছে। বিভিন্ন অনিয়মের কারণে এই মেডিকেলের ২১৬ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ