বগি নয়, হলভিত্তিক রাজনীতি করবে চবি ছাত্রলীগ
- এ এইচ আজহার, চবি
- প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০১৯, ০৩:২৫ PM , আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৯, ০৪:৩৩ PM
দীর্ঘ ১৯ মাস পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পেল কমিটি। গত ১৪ জুলাই কমিটি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এতে সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু মনোনীত হয়েছেন। ক্যাম্পাস ও ছাত্র-রাজনীতি ঘিরে কী ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে তা নিয়ে ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে কথা হয়েছে চবি ছাত্রলীগ সভাপতির। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন চবি প্রতিনিধি এ এইচ আজহার।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মনোনীত হওয়ায় আপনাকে স্বাগতম।
রেজাউল হক রুবেল: আপনাকে ধন্যবাদ।
দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস: দুই সদস্যের কমিটি ঘোষণা হয়েছে। আপনাদের পরবর্তী পরিকল্পনা কী?
রেজাউল হক রুবেল: আমরা সবার মতামত নিয়ে সেই অনুযায়ী ত্যাগী, পরীক্ষিত, মেধাবী শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বের সুযোগ করে দিবো। হল, অনুষদ, বিভাগ সর্বস্তরে কমিটি দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেউ যাতে খালি হাতে ফিরে না যেতে হয়। আমরা সেদিকেই লক্ষ্য রাখবো। দীর্ঘদিন ধরে যারা রাজনীতির সাথে যুক্ত এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের যারা আছে, তাদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুইজন দুই নেতার অনুসারী আপনারা। পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়ার ক্ষেত্রে এর কোনো প্রভাব পড়বে কিনা?
রেজাউল হক রুবেল: না, আমরা দুই নেতার অনুসারী হলেও মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন ও মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ভাই তারা উভয়েই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আছেন। তারা আমাদের অভিভাবক। তাই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশ ও আমাদের অভিভাবকদের পরামর্শেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: চবিতে স্থানীয় রাজনীতির প্রভাব রয়েছে। যেটা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে খুব বেশি দেখা যায় না। বিষয়টা ইতিবাচক বলে মনে করেন?
রেজাউল হক রুবেল: যেহেতু কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে আমরা বেশ দূরে আছি। তাই আমাদের অভিভাকদের যে ভূমিকা সেটা অস্বীকার করা যাবে না। এবং এটা চবি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: দীর্ঘদিন কমিটি না থাকায় চবি ছাত্রলীগ বিভিন্ন গ্রুপ-উপগ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। পূর্ণাঙ্গ কমিটি হওয়ার পর এই সমস্যা সমাধানের কোনো পরিকল্পনা আছে কি?
রেজাউল হক রুবেল: বগি ভিত্তিক রাজনীতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হবে। এক নেতার একাধিক গ্রুপ থাকা। এটাও বেমানান। তাই আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে, চবিতে শুধুমাত্র দুইটা গ্রুপ থাকবে। নওফেল গ্রুপ ও আ জ ম নাছির গ্রুপ। এছাড়া বাকী সকলকে একই প্লাটফর্মে নিয়ে আসা হবে। যেহেতু নতুন কমিটিতে যোগ্য, ত্যাগীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সেহেতু আমার মনে হয় কেউ দ্বিমত করবে না এখানে।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: চবি ছাত্রলীগের কমিটি না থাকায় চাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে এক প্রকার অনিশ্চয়তা কাজ করেছিলো ইতোপূর্বে। কমিটি হওয়ার পরে চাকসু নির্বাচন নিয়ে কি ভাবছেন?
রেজাউল হক রুবেল: সাধারণ শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি চাকসু নির্বাচন। আমাদেরও পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী আগষ্টের পরেই প্রশাসনের নিকট আমরা এ দাবি তুলবো।
দ্যা ডেইলি ক্যাস্পাস: শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সমস্যা, আবাসন সংকট, নিম্নমানের খাদ্য ও শিক্ষার্থীদের সার্বিক সমস্যা নিরসনে আপনাদের উদ্যোগ কী হবে?
রেজাউল হক রুবেল: শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো আমরা হলগুলোতে গিয়ে খুঁজে খুঁজে লিপিবদ্ধ করবো। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সেক্টরে দাবিগুলো উত্থাপন করা হবে। যদি এতেও কাজ না হয়, তাহলে আমরা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছে পেশ করব।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: হলের রাজনীতিতে ফেরার কথা শোনা যাচ্ছে। এটা কি কেন্দ্রের নির্দেশ নাকি নবগঠিত কমিটির পরিকল্পনা?
রেজাউল হক রুবেল: হলের রাজনীতিতে ফেরার নির্দেশ রয়েছে কেন্দ্র থেকে। আমরা পুরোদমে হলের রাজনীতিকে সক্রিয় করে তুলবো। ছাত্রীদের হলগুলোকেও নিয়ন্ত্রণ করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আমাদের সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
রেজাউল হক রুবেল: আপনাকেও ধন্যবাদ।