সাইবার হুমকি মোকাবিলায় অবদান, যুক্তরাষ্ট্রের এএএএস ফেলো হলেন লতিফুর খান

ড. লতিফুর খান
ড. লতিফুর খান   © টিডিসি

আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অব সায়েন্সের (এএএএস) ২০২৪ সালের ফেলো নির্বাচিত হয়েছেন ড. লতিফুর খান। মেশিন লার্নিং, সাইবার নিরাপত্তা ও সামাজিক গবেষণায় অবদানের জন্য তাকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। ২৪টি বিভাগে মোট ৪৭১ জন বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী ও গবেষক এই সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। আগামী ৭ জুন ওয়াশিংটন ডিসিতে এক অনুষ্ঠানে তাদের সংবর্ধনা জানানো হবে।

গত ১১ এপ্রিল ডালাসের টেক্সাস ইউনিভার্সিটির (ইউটিডি) ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ড. লতিফুর খান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও প্রভাষক। বর্তমানে তিনি ডালাসের টেক্সাস ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্সের একজন শিক্ষক ও গবেষক হিসেবে কর্মরত আছেন।

তিনি এমন একটি পদ্ধতির উন্নয়ন করেছেন, যার মাধ্যমে বোঝা যাবে মেশিন লার্নিং মডেল কখন আপডেট করা দরকার, বিশেষ করে যখন সেই মডেল বিশাল পরিমাণ ধারাবাহিক তথ্য বিশ্লেষণ করে সাইবার হুমকি শনাক্তে ব্যবহৃত হয়। তার এই সমাধান মডেলকে এমনভাবে অভিযোজিত করার প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে, যাতে হ্যাকাররা তাদের কৌশল পরিবর্তন করলে মডেলটিও সেভাবে বার্তা দিতে সক্ষম হবে।

এ ছাড়া তিনি অর্থনীতি, রাজনীতি ও নীতিবিজ্ঞান বিভাগের গবেষকদের সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি করেছেন ConfliBERT নামে একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর ওপেন-সোর্স টুল, যা রাজনৈতিক সহিংসতা ও সংঘাত সম্পর্কিত তথ্য  সংরক্ষণ করে।

এ বিষয়ে ডালাসের এরিক জনসন স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কম্পিউটার সায়েন্সে বিভাগের প্রধান বলেন, ড. লতিফুর খান এক বিশ্বমানের গবেষক, যিনি সাইবার নিরাপত্তা ও জিওস্পেশিয়াল অ্যানালিটিক্সের মতো নানা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ডেটা মাইনিং অ্যালগরিদম তৈরি করেছেন।

তিনি আরও বলেন, ড. খান ইউটি ডালাস থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন, আর আজ তিনি বিজ্ঞানীদের জন্য অন্যতম মর্যাদাসম্পন্ন পুরস্কার পেয়েছেন—এটি সত্যিই আনন্দের।

সম্মাননা প্রাপ্তির বিষয়ে ড. লতিফুর খান বলেন, এএএএস ফেলো হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় আমি সম্মানিত ও কৃতজ্ঞ। ইউটিডির সহায়তা ছাড়া এটি সম্ভব হতো না।


সর্বশেষ সংবাদ