করোনায় ঘরবন্দী সময়ে অনলাইন কোর্স

প্রতীকি ছবি
প্রতীকি ছবি  © সংগৃহীত

করোনাকালে ঘরবন্দী থাকার এই সময়ে দক্ষতা বাড়াতে পারেন অনলাইনে কোর্স করে। এখন বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠান থেকে অনলাইনে বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষায়িত কোর্স করা যায়। কোর্স সম্পন্নকারীদের জন্য সনদও প্রদান করে এসব প্রতিষ্ঠান। অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্মের শীর্ষে থাকা কয়েকটি ওয়েবসাইটের তথ্য নিচে তুলে ধরা হলো-

কোর্সেরা

অনলাইন লার্নিংয়ের জন্য শীর্ষস্থানীয় একটি প্ল্যাটফর্ম কোর্সেরা। যেখানে ইঞ্জিনিয়ারিং, হিউম্যানিটিজ, মেডিসিন, বায়োলজি, সোশ্যাল সায়েন্স, ম্যাথমেটিক্স, বিজনেস, কম্পিউটার সায়েন্স, ডিজিটাল মার্কেটিং, ডেটা সায়েন্সসহ বিভিন্ন বিষয়ে দুইশর বেশি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে কোর্স করার সুযোগ রয়েছে। অনলাইন কোর্সের বিশেষায়িত ওয়েবসাইটটিতে বর্তমানে প্রায় চার হাজারের বেশি কোর্স করানো হচ্ছে।

২০১২ সালে কোর্সেরা প্রতিষ্ঠা করেন স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্সের অধ্যাপক অ্যান্ড্রু এনজি ও ড্যাফেন কোলার। ২০১১ সালে স্ট্যানফোর্ডে একটি কোর্স অনলাইনে পরিচালনার পর তারা কোর্সেরা প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন। প্রতিষ্ঠানটির নিবন্ধিত শিক্ষার্থী সংখ্যা ৫৩ মিলিয়ন। ওয়েবসাইটটিতে বেশিভাগ কোর্সই ফ্রিতে করা যায়। তবে সার্টিফিকেট নিতে হলে টাকা খরচ করতে হয়।

এডেক্স

বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের কোর্স পরিচালনা করে এডেক্স। ২০১২ সালে এডেক্স প্রতিষ্ঠা করে ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি ও হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি। ১৪০টিরও বেশি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ‌ওয়েবসাইটটিতে কোর্স পরিচালনা করে থাকে। 

প্রত্যেক সপ্তাহে শিক্ষার্থীদেরকে রিডিং ম্যাটেলিয়াল দেওয়া হয়। এছাড়া শিক্ষার্থীরা যাতে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে পারেন, প্রশ্ন করতে পারেন সেজন্য থাকে ডিসকাশন ফোরাম।  রিডিং ম্যাটেরিয়াল আত্মস্থ করে এবং ডিসকাশন ফোরামে বিভিন্ন বিষয়ে অন্যের সাহায্য নিয়ে দেওয়া যায় পরীক্ষা। পাশ করলে পাওয়া যায় সার্টিফিকেট।

স্কিলশেয়ার

গ্রাফিক্স ডিজাইন, ক্রিয়েটিভ রাইটিং, ফটোগ্রাফি ও ইলাস্ট্রেটরসহ বেশ কিছু বিষয়ে জানতে ওয়েবসাইটটিতে কোর্স করা যায়। এখানকার লেকচারগুলো বেশ ইন্টার‍্যাক্টিভ। অর্থাৎ সব কিছুই এখানে শেখানো হয় হাতে কলমে। বিশেষজ্ঞরা নির্দিষ্ট একটি বিষয়ের আদ্যোপান্ত নিয়ে কথা বলেন। নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত একটি প্রজেক্ট নিজে করে দেখাতে পারলেই শেষ হয় কোর্স।

স্কিলশেয়ার প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১০ সালে। বর্তমানে এতে ২৭ হাজার প্রিমিয়াম ক্লাস ও ২ হাজার ফ্রি ক্লাস অফার করছে তারা। প্রিমিয়াম ক্লাস করতে চাইলে প্রতি মাসে সাবস্ক্রিপশন ফি হিসেবে দিতে হবে প্রায় ১০ ডলার।

ইউডেমি

কিভাবে অগমেন্টেড রিয়েলিটি সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে বা কিভাবে এআর অ্যানিমেশন তৈরি করা হয় এসব বিষয়ে শিখতে চাইলে ঢুঁ মারা যেতে পারে ইউডেমির ওয়েবসাইটটিতে। এখানে টুডি ও থ্রিডি গেইম তৈরির বিষয়ও নির্দেশনা মেলে। প্রতিটি কোর্সে রেজিস্ট্রেশন করতে খরচ হবে প্রায় ১০ ডলার।

টেকেবল

কোনো বিশেষ বিষয়ে দক্ষতা থাকলে যে কেউ এখানে কোর্স তৈরি করে তা আপলোড করতে পারেন। কীভাবে কোর্স তৈরি করতে হবে তা ওয়েবসাইটটি থেকে‌ই জানা যাবে। কোর্স তৈরি করার পাশাপাশি এখানে কোর্স করারও সুযোগ আছে। বেসিক কোর্স করতে বছরে খরচ হবে ৩০০ ডলার। প্রিমিয়াম কোর্সে খরচ হবে ৭৪৯ ডলার।

ইউএন সিসি-লার্ন

জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে ইউএন ক্লাইমেট চেঞ্জ-ইলার্ন নামে একটি ওয়েবসাইট আছে জাতিসংঘের। এখানকার প্রতিটি কোর্সই ফ্রিতে করা যায়। বর্তমানে ওয়েবসাইটটির নিবন্ধিত ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২ লাখ ২৩ হাজার।

খান একাডেমি

২০০৬ সালে এই অনলাইন লার্নিং অ্যাপটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এটি সম্পূর্ণ নন-প্রফিট এডুকেশনাল অর্গানাইজেশন। আপনি খুব সহজে বিভিন্ন বিষয়ে কোর্স করতে পারবেন।

মুক্তপাঠ 

অনলাইনে বিনামূল্যে এই ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবেন সবাই। আর সফলভাবে প্রশিক্ষণ শেষ করলে পাওয়া যাবে সনদ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম এই উদ্যোগটি বাস্তবায়ন হচ্ছে।


সর্বশেষ সংবাদ