চিকিৎসা শিক্ষার আধুনিকায়নে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল  © ফাইল ছবি

চিকিৎসা ও নার্সিং শিক্ষার মানোন্নয়ন ও আধুনিকায়নে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট বক্তৃতায় এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, চিকিৎসা শিক্ষায় সকল স্নাতকোত্তর ডিগ্রিকে এক প্লাটফরমের আওতায় নিয়ে আসা, পরীক্ষা পদ্ধতির আধুনিকায়ন, শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইত্যাদি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মৌলিক ও প্রায়োগিক গবেষণার অবকাঠামো তৈরি, গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা, স্বাস্থ্যখাতের নতুন উদ্ভাবনের সক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদির উদ্দেশ্যে ‘সমন্বিত স্বাস্থ্য বিজ্ঞান গবেষণা ও উন্নয়ন তহবিল’ এ বরাদ্দ প্রদান অব্যাহত রেখেছি।

মোস্তফা কামাল বলেন, অদূর ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যসেবাখাতে ব্যবহৃত বিশেষায়িত প্রযুক্তি বা যন্ত্র ব্যবহার, পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বিশেষায়িত ও দক্ষ জনবল তৈরির জন্য কোর্স বা প্রশিক্ষণ পরিচালনাসহ উপযোগী অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণের চিন্তাভাবনা আছে।

এ সময় অর্থমন্ত্রী বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, পরিবার পরিকল্পনা সেবা সহজীকরণসহ মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য আমরা বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছি। ইউনিয়ন পর্যায়ে দক্ষ ধাত্রী ও মিডওয়াইফের মাধ্যমে নিরাপদ প্রসবসেবা দেওয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণ ও সেবা গ্রহীতাদের সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ৫০০টি ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার সেন্টার (এফডব্লিউসি) কে মডেল ঘোষণা করা হয়েছে। কৈশোরকালীন জন্মহারকে কাঙ্খিত পর্যায়ে নামিয়ে আনার উদ্দেশ্যে ২০১৭-২০৩০ সাল মেয়াদের জন্য একটি জাতীয় কৈশোর স্বাস্থ্য কৌশলপত্র অনুমোদিত হয়েছে। বর্তমানে এ বিষয়ে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ চলছে। বিভিন্ন সেবাকেন্দ্রে স্থাপিত এক হাজার ১০৩টি কৈশোরবান্ধব কর্নারের মাধ্যমে জনগণকে সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আগামীতে আমরা প্রতিবছর ২০০টি করে কৈশোর বান্ধব কর্নার স্থাপন করবো। এ ছাড়া ৫৯২টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র পুনর্নির্মাণ এবং জেলাশহরে বিদ্যমান মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্রকে মা ও শিশু হাসপাতালে রুপান্তর করা হচ্ছে। এ সল হাসপাতালের মাধ্যমে পরিবার পরিকল্পনা, মাতৃস্বাস্থ্য, শিশুদের স্বাস্থ্যসেবাসহ অন্যান্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রাখা সম্ভব হবে।

মোস্তফা কামাল বলেন, গ্রামীণ জনগণের কাছে সরাসরি স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানেরা কার্যকর মাধ্যম হিসেবে এ পর্যন্ত ১৪ হাজার ৩৮৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো সরকার ও জনগণের সম্মিলিত অংশীদারিত্বে পরিচালিত হয়। ক্লিনিকের জন্য জমি প্রদানের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারা ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনায়ও ভূমিকা রাখেন। ক্লিনিক পরিচালনা ও ওষুধ চিকিৎসা সরঞ্জামের ব্যয় নির্বাহের দায়িত্ব সরকারের। ক্লিনিকে মা, নবজাতকও অসুস্থ শিশুর সমন্বিত সেবা, প্রজননস্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা, সাধারণ আঘাতের চিকিৎসা ছাড়াও পুষ্টিসেবা প্রদান করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ক্লিনিকে ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের মতো অসংক্রামক রোগ শনাক্ত করা হয়। বয়স্ক, কিশোর-কিশোরী ও প্রতিবন্ধীদের লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা ও পরামর্শ দেওয়া হয়। ক্লিনিক থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ ছাড়ও শিশুরে অনুপুষ্টিকণার প্যাকেট দেওয়া হয়।

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে দৈনিক গড়ে ৪০ জন সেবাপ্রার্থী সেবা গ্রহণ করে থাকেন, যার ৮০ শতাংশই নারী ও শিশু। সারাদেশে প্রায় ৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাভাবিক প্রসবসেবা দেওয়া হয়।

মোস্তফা কামাল বলেন, স্বাস্থ্যখাতে সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সাফল্যের ধারাবাহিকতায় টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসমূহ অর্জনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence