করোনায় শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার তথ্য মানতে রাজি নয় মাউশি

মাউশি মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক
মাউশি মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক  © ফাইল ফটো

করোনার কারণে বছরজুড়ে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার বাড়াবে বলে কয়েকটি জরিপে উঠে এসেছে। তবে তাতে একমত নয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক। এ জরিপের কোনো ‘ভিত্তি নেই’ বলে দাবি করেছেন তিনি। বুধবার এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে এ দাবি করেন তিনি। অনুষ্ঠানে ঝরে পড়ার হার ২০-৩৩ শতাংশ হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।

সরকারি হিসাবে গত বছর প্রাথমিকে ১৭ দশমিক ৯০ শতাংশ ও মাধ্যমিকে ৩৫ শতাংশের বেশি ঝরে পড়েছে শিক্ষার্থী। আর এবার করোনার কারণে এ সংখ্যা আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে জানানো হচ্ছে। বুধবার ঢাকার একটি হোটেলে ১৫টি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে ‘নিরাপদে ইশকুলে ফিরি’ প্রচারাভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও সে কথা বলা  হয়।

ওয়ার্ল্ড ভিশনের পরিচালক টনি মাইকেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। মূল প্রবন্ধ পড়েন ব্র্যাকের ঊর্ধ্বতন পরিচালক কে এ এম মোরশেদ।

এসময় ‘ক্যাম্পেইন ফর পপুলার এডুকেশন’র জরিপের বিষয়টি সামনে এনে তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৮ শতাংশ শিক্ষক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪১ শতাংশ শিক্ষক, ৪০ শতাংশ অভিভাবক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ৪৭ শতাংশ ও ৩১ শতাংশ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করছেন, ২০ থেকে ৩৩ শতাংশ শিক্ষার্থী ঝরে পড়বে।

এ তথ্যের বিষয়ে মাউশির মহাপরিচালক বলেন, ‘ড্রপআউটের আশঙ্কার কথা আপনারা বলেছেন, বিভিন্ন মানুষের মতামত নিয়েছেন। আমার অফিসেরএকটা তথ্য নিলাম, আমাকে ৩০ লাখ শিক্ষার্থীর তথ্য দিল। ৯১ শতাংশ শিক্ষার্থী অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিয়েছে। তাহলে ৯ শতাংশের বেশি ঝরে পড়ার কথা নয়। যারা অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিয়েছে, তারা ঝরে পড়ার কথা না।’ এমন গবেষণা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করবে বলেও দাবি করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘টিভি ক্লাসগুলোতে সমান শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে না। প্রথম টিভি ক্লাস শুরুর সময় অনেক শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। পরে অনলাইন ক্লাস শুরু হলে শিক্ষার্থীরা সেটি বেছে নিল। কেননা এতে শিক্ষকের সাথে কথা বলা যায়, প্রশ্ন করা যায়। টিভি ক্লাসে প্রশ্ন করা যায় না। ডাটাটা কখন নিয়েছেন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ।’

এসব গবেষণার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মাউশির মহাপরিচালক বলেন, ‘এ গবেষণাগুলোর আসলে ইজলাইন নাই। আমি প্রতি সপ্তাহে গ্রামে যাই এবং দেখি তারা কী অবস্থায় আছে। আমার কাছে মনে হয় না, বিষয়টা এত বেশি গুরুতর।’


সর্বশেষ সংবাদ