কেরানীগঞ্জের হানাফিয়া মসজিদ, স্বীকৃতি পেল ইউনেসকোর

কেরানীগঞ্জে অবস্থিত দোলেশ্বর হানাফিয়া জামে মসজিদ
কেরানীগঞ্জে অবস্থিত দোলেশ্বর হানাফিয়া জামে মসজিদ  © সংগৃহীত

জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা- ইউনেসকোর স্বীকৃতি পেলো প্রায় দেড়শ বছরের পুরনো ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর হানাফিয়া জামে মসজিদ। 

বুধবার (০১ ডিসেম্বর) কেরানীগঞ্জের এই মসজিদটি 'দ্য অ্যাওয়ার্ড অব মেরিট' ক্যাটাগরিতে এ স্বীকৃতি পেয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটির এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অফিস। সংস্থাটি ২০০০ সাল থেকে এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। 

এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে ফিজি থেকে শুরু করে কাজাখাস্তান পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের শ্রেষ্ঠ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগুলোকে সংরক্ষণ করতে প্রতিবছর এ স্বীকৃতি দিচ্ছে সংস্থাটি। এ জন্য এ পুরস্কারের নাম দেওয়া হয়েছে ‘এশিয়া-প্যাসিফিক অ্যাওয়ার্ডস ফর কালচারাল হেরিটেজ কনজারভেশন’।

বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, চীন, জাপান, মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ডের বিভিন্ন স্থাপনা এ বছর এই স্বীকৃতি পেয়েছে। এবছর মোট ৬টি দেশের ৯টি স্থাপনাকে এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

হানাফিয়া জামে মসজিদটি ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর ইউনিয়নে অবস্থিত। জানা গেছে, ১৮৬৮ সালে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। সেসময় এটির নির্মাণকাজ শুরু করেছিলেন দারোগা আমিনউদ্দীন আহম্মদ। এজন্য মসজিদটি দারোগা মসজিদ নামেও পরিচিত। তখনকার জনসংখ্যার বিবেচনায় এটি ছোট আকারে নির্মাণ করা হলেও এরপর মসজিদটি একাধিকবার সম্প্রসারণ করা হয়।

অতিক্রান্ত সময়ের ব্যবধানে এই মসজিদের অবকাঠামো নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। কয়েক বছর আগে মসজিদটিকে সংস্কার করে পুরনো রূপ দেওয়ার উদ্যোগ নেন সেখানকার সংসদ সদস্য ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

সংস্কার কাজের অংশ হিসাবে পুরনো মসজিদের পাশেই নির্মাণ করা হয় নতুন আরেকটি মসজিদ। সেইসঙ্গে পুরনো মসজিদটিকে সংস্কার করে রূপান্তরিত করা হয় লাইব্রেরি এবং মক্তবে। এ সংস্কার কাজের নেতৃত্ব দেন স্থপতি আবু সাঈদ এম আহমেদ। ২০১৮ সালে মজিদটির সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়। 

ইউনেসকো এক বিবৃতিতে বলেছে, এসব স্থাপনার মাধ্যমে ঐতিহ্যের যে বৈচিত্র্য ধরে রাখা হয়েছে সেটি সত্যিই প্রশংসার বিষয়। যেসব স্থাপনা পুরস্কার পেয়েছে সেগুলোতে টেকসই উন্নয়নের নানা দিক রয়েছে বলে ইউনেস্কো উল্লেখ করেছে।

পুরষ্কার প্রাপ্তির পর মসজিদটির স্থপতি সাঈদ মোস্তাক আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার আমার জন্য যেমন আনন্দের তেমনি গর্বের। তবে কাজটি বেশ কঠিন ছিল উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছেন এটি সংস্কারের ক্ষেত্রে স্থাপত্যশৈলীর পাশাপাশি আধুনিকতার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হয়েছিল।’ 


সর্বশেষ সংবাদ