শাবিপ্রবি ছাত্র হত্যা: প্রেমিকাকে নিয়ে ‘ডেড স্পটে’ পুলিশ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২২, ০৭:০৯ PM , আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২২, ০৭:৫৬ PM
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বুলবুল আহমেদ হত্যার ঘটনায় তার প্রেমিকাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গেছে পুলিশের একটি দল। তারা সেই রাতে কি হয়েছিল সেটি জানার চেষ্টা করছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) ওই ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে বেশ কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর জালালাবাদ থানার পুলিশ তাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন প্রক্টর ইসরাত ইবনে ইসমাইল ও ছাত্র উপদেষ্টা ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক আমিনা পারভীন।
জানা গেছে, বুলবুল নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের নন্দীপাড়া গ্রামের মৃত ওয়াহাব মিয়ার ছেলে। ৭ মাস আগে মারা গেছেন তার বাবা। একমাত্র বড় ভাইয়ের বেসরকারি চাকরি ও বুলবুলের টিউশনির টাকায় চলত তাদের পাঁচ সদস্যের সংসার। তার প্রেমিকা শাবিপ্রবির বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি ছাত্র হত্যার সময় উপস্থিত প্রেমিকার রহস্যজনক আচরণ
বুলবুলের বড় বোন সোহাগী আক্তার বলেন, স্বপ্ন ছিল বুলবুল বিসিএস ক্যাডার হবে। নিম্নবিত্ত এই সংসারের হাল ধরবে। সেই স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল। আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
বুলবুলের মৃত্যুর ঘটনায় সিলেটের জালালাবাদ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে তদন্তও শুরু করেছে।
জানতে চাইলে জালাবাদ থানার ওসি নাজমুল হুদা খান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শাবিপ্রবি ছাত্র হত্যার ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বুলবুলকে হাসপাতালে নিয়ে আসা এক ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার আচরণ আমাদের কাছে সন্দেহজনক মনে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ওই ছাত্রী আমাদের একেক সময় একেক তথ্য দিয়েছেন। প্রথমে তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না বলে জানালেও পরবর্তীতে ঘটনার সময় উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এছাড়া একবার বলছেন দুইজন হত্যা করেছে; আবার বলছেন তিনজন ছিলেন। আমরা সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই মামলার তদন্ত করছি।
এদিকে গতকাল বুলবুলকে ছুরিকাঘাতের পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান সমাজকর্ম বিভাগের ছাত্র আবদুল্লাহ আল রোমান। জানতে চাইলে রোমান বলেন, ওই মেয়ের সঙ্গে বুলবুলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কাল বিকেলে তারা ক্যাম্পাসের গাজিকালুর টিলায় যায়। সেখানে সাড়ে সাতটার দিকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। এরপর ৭টা ৩৮ এ ওই মেয়ে আমাকে ম্যাসেঞ্জারে নক দেয়। আমি তাতে রেসপন্স না করায় ৭টা ৫১ সে আমার মোবাইলে কল দিয়ে জানায়, বুলবুলকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এর পর বুলবুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।