শাবিপ্রবি ভিসিকে মানুষ বলতে পারি না: জাফর ইকবাল

অধ্যাপক জাফর ইকবাল শিক্ষার্থীদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান
অধ্যাপক জাফর ইকবাল শিক্ষার্থীদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান  © সংগৃহীত

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের পদত্যাগ দাবি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর পর ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেছেন, শিক্ষার্থীদের এমন অবস্থা দেখেও যার মন গলে না, নিজের জায়গায় অনড় থাকেন; আমি তাকে অন্তত মানুষ বলতে পারি না, তিনি দানব।

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল আজ বুধবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে শিক্ষার্থীদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান। এরপর বেলা সোয়া ১১টার দিকে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।

আরও পড়ুন: অনশন ভাঙলেও চলবে আন্দোলন

অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলছি, এই ছেলেমেয়েদের আন্দোলনকে থামানোর জন্য যে প্রক্রিয়াগুলো নেওয়া হয়েছে, সেটা অমানবিক, নিষ্ঠুর, দানবীয়। আমি ধরেই নিয়েছিলাম, এখানে একটা মেডিকেল হেলথ থাকবে। তাঁরা কন্টিনিউয়াসলি এই ছেলেমেয়েদের দেখবে। আমি খুবই ব্যথা পেয়েছি মনে, যখন দেখেছি এখানে কোনো রকম মেডিকেল হেলথ সুবিধা নাই।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমরা কেন তোমাদের জীবন অপচয় করবে? তোমাদের বাঁচতে হবে। তোমরা ইতোমধ্যেই বিজয়ী হয়ে গেছ। সারা দেশের মানুষ তোমাদের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের ঘুম হারাম করে দিয়েছ। জীবন অনেক মূল্যবান। তুচ্ছ বিষয়ে জীবন অপচয় করা যাবে না।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টা ৫৪ মিনিটে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আসেন। এরপর ৪টার দিকে তিনি অনশনস্থলে যান। সেখানে গিয়ে তিনি অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তাঁর স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমিন হক তাঁর সঙ্গে ছিলেন।

আরও পড়ুন: 'করোনাকালে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ঠিকাদারদের রাজত্ব তৈরি হয়েছে'

জাফর ইকবাল বলেন, আমি ও প্রফেসর ইয়াসমিন হক গত রাতে ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে ভোররাতে এখানে পৌঁছাই। আমরা আমাদের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলি। আমরা তাঁদের অনুরোধ করি, তোমাদের প্রাণ অনেক মূল্যবান।

তিনি আরও বলেন, এই প্রাণ এই রকম একজন মানুষের জন্য তোমরা বিপদগ্রস্ত করবে না। তারা আমাদের অনুরোধ রক্ষা করে আজকে সকালে সবাই মিলে অনশন ভঙ্গ করেছে। আমি আমার জীবনে এর থেকে বেশি আনন্দ কখনো পাই নাই। আমি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ। এখন তাদের হাসপাতালে নিতে হবে, তারা যেন সুস্থ হয়ে উঠে ঠিকভাবে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।