অনুপস্থিত কর্মচারীকে উপস্থিত দেখিয়ে বেতন বিল তৈরির অভিযোগ
- যবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০১ PM , আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০১ PM

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) আউটসোর্সিং জনবল হিসেবে কর্মরত অনুপস্থিত ৫ জন কর্মচারীর তিন মাসের ভুয়া বেতনসিট তৈরি ও সিকিউরিটি সার্ভিস কোম্পানি ‘বিএসএস’-এর সাথে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে যবিপ্রবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার (স্টেট ও নিরাপত্তা শাখা) মো. জাহাঙ্গীর কবিরের বিরুদ্ধে।
গতমাসের বেতনসিটে কর্মচারীদের স্বাক্ষরে গড়মিল থাকায় অডিট সেলের আপত্তিতে এ ঘটনা সামনে এসেছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ৫ জন কর্মচারী কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা স্বত্ত্বেও হাজিরা সিটে তাদের স্বাক্ষর দেখিয়ে বেতন বিল তৈরি করেছেন সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর কবির। একই উপায়ে বেতনসিট তৈরি করে কয়েক মাস যাবৎ বিএসএস কোম্পানিকে অবৈধ বেতন উত্তোলনে সহযোগিতার বিনিময়ে মোটা অঙ্কের কমিশন নিয়েছেন বলে অভিযোগও রয়েছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
আরো পড়ুন: মুখ দিয়ে লিখে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন লিতুন জিরা
এদিকে মার্চ মাসে আউটসোর্সিংয়ের তিনজন কর্মচারীর বেতনসিট যাচাই-বাছাইয়ের সময় অডিট আপত্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিট সেল। অডিট আপত্তিতে বলা হয়, একজন কর্মচারীর নামের স্থানে অন্যজনের স্বাক্ষর রয়েছে এবং অপর দুইজনের স্বাক্ষরের সঙ্গে তাদের মূল স্বাক্ষরের মিল পাওয়া যায়নি। যার দায়িত্বে ছিলেন এই জাহাঙ্গীর কবির।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী জানান, আমাদের বেশ কয়েকজন বেশিরভাগ সময় আসে না। যেকোনো একদিন ওদের ডেকে নিয়ে এসে হাজিরাসিটে একবারে সাইন করিয়ে নেন জাহাঙ্গীর স্যার। এইভাবে হাজিরা দেখিয়ে মাসের বিল তৈরি করেন উনি। ফলে কোম্পানি পুরো মাসের বেতন পায়। এ ছাড়াও এই আউটসোর্সিং কোম্পানির সাথে যোগাযোগ ও কর্মচারীদের বিষয়ে সবকিছু একাই নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘যে তিন জনের অডিট আপত্তি এসেছে তাদের মধ্যে একজনকে কোম্পানি বদলি করে আরেক জনকে দিয়েছে। কিন্তু বিল তৈরির সময় ভুলে পূর্বের নাম রয়ে গেছে। আর যে দুই জনের স্বাক্ষরে অমিল পাওয়া যায় তাদের মধ্যে একজন ইতোমধ্যে ভেরিফাই করেছে আর আরেকজন ছুটিতে থাকায় এখনো ভেরিফাই করতে পারেনি।’
অনুপস্থিত কর্মচারীদের উপস্থিতি দেখিয়ে বেতনসিট তৈরির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের কোন অভিযোগ আমার জানা নেই। এতদিন বিভিন্ন কাজের চাপের কারণে এ বিষয়টি আমি নিজে তত্ত্বাবধান করতে পারিনি। এখন থেকে তাদের হাজিরার বিষয়টি আমি নিজে তত্ত্বাবধান করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ আহসান হাবীব বলেন, ‘বিষয়টি ইতোমধ্যেই আমি অবগত হয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’