গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে পিরোজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মানববন্ধন
- পিরোজপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৯ PM , আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৯ PM

ফিলিস্তিনের রাফা ও গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলা এবং নির্বিচার গণহত্যার প্রতিবাদে পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের প্রাঙ্গণে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।
আজ (৭ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে শুরু হওয়া এ মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানান এবং অবিলম্বে এ হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবি জানান।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা ‘বন্ধ করো এই রক্তগঙ্গা’; ‘ফিলিস্তিনের মুক্তি চাই’; ‘গণহত্যা নিপাত যাক’; ‘We see human but no humanity’ ইত্যাদি ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে উপস্থিত হন ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনীর এ হামলা মানবতার চরম লঙ্ঘন এবং বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছে। নিরীহ নারী, পুরুষ ও শিশুদের ওপর এই নৃশংসতা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার এই কঠিন সময়ে ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে আছে এবং তাদের ন্যায্য অধিকারের পক্ষে সর্বদা সোচ্চার থাকবে।’
আরও পড়ুন: ইউ-গো’র গ্লোবাল সম্মেলনে মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির নূরজাহান
এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও অংশ নেন এবং ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. আকতার হোসেন বলেন, ‘ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সবকিছুই ধ্বংস করে দিছে, সেখানে বোমার আঘাতে মানুষের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বাতাসে উড়ে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে আছে। অতি শীঘ্র যেন এই হত্যাকাণ্ড বন্ধ করা হয়, জাতিসংঘ, ওআইসি সহ বিশ্ব সম্প্রদায় মিলে এ যুদ্ধ বন্ধ করার পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সেখানে ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয় আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, ‘ফিলিস্তিনের বর্বরচিত হামলা তীব্র নিন্দাহ প্রতিবাদ জানাই, গত ১৮ মাসে প্রায় পঞ্চান্ন হাজার মানুষসহ প্রায় ৮৮৩ শিশুকে ইসরাইলি বাহিনী হত্যা করেছে। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডে বিশ্ববাসী নীরব।’
আরও পড়ুন: নিজের তৈরি করা বানানরীতি মানে না খোদ বাংলা একাডেমি
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘ থেকে শুরু করে বিশ্ব বিবেককে এই অমানবিক হত্যাকাণ্ড বন্ধের জন্য অগ্রসর হওয়ার আহ্বান জানাই এবং অবিলম্বে এর সমাপ্তি চাই।’
মানববন্ধন কর্মসূচিটি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় এবং অংশগ্রহণকারীরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি ও ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।