নিয়োগে অনিয়ম, গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন
সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন  © সংগৃহীত

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা দায়ের করেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১৬টি পদের স্থলে ২০ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং আবেদনকারীর তালিকায় নাম না থাকার পরও শারমিন চৌধুরীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (২ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় গোপালগঞ্জ জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গোবিপ্রবিতে প্রশাসনিক কর্মকর্তার ১৬টি পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২০ জনকে নিয়োগ দেন। তদন্তে দেখা গেছে, ৮৭০ আবেদনকারীর তালিকায় শারমিন চৌধুরীর নাম ছিল না। তবুও তাকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়।

এছাড়া, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করা হলেও শারমিন চৌধুরীর বয়স ছিল ৩৩ বছর ৩ মাস। তা সত্ত্বেও নিয়ম লঙ্ঘন করে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন – সাবেক উপাচার্য, গোবিপ্রবি, ড. মোশারফ আলী – রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ, ড. মো. আব্দুল মান্নান – খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক, শারমিন চৌধুরী – বর্তমান সেকশন অফিসার, গোবিপ্রবি।

এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

গোপালগঞ্জ জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায় বলেন, “বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে, তাই বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এর আগে, গত ১২ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল গোবিপ্রবিতে অভিযান চালায় এবং বিভিন্ন অনিয়মের প্রমাণ পায়। তদন্ত চলমান থাকায় আরও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে দুদক জানিয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ