আন্দোলনে শহীদ নুর আলমের স্ত্রীর চাকরি হলো কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে

ভিসির কোলে শহীদ নুর আলমের ছেলে। পাশে তার স্ত্রী ও শ্বশুর
ভিসির কোলে শহীদ নুর আলমের ছেলে। পাশে তার স্ত্রী ও শ্বশুর  © সংগৃহীত

জুলাই অভ্যুত্থানে গুলিতে নিহত শহীদ নুর আলমের স্ত্রী খাদিজা বেগমের ‘চাকরির’ ব্যবস্থা করেছে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হোস্টেলের অফিস সহায়ক (আয়া) পদে তাকে অস্থায়ী দিনমজুর ভিত্তিতে নিয়োগের ব্যবস্থা করে কর্তৃপক্ষ। এ সময় নুর আলমের শিশুসন্তান ও শ্বশুর উপস্থিত ছিলেন।

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

২০২৪ সালের ২০ জুলাই গাজীপুরে আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন নুর আলম। তার বাড়ি কুড়িগ্রাম সদরের ভোগডাঙা ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আমির হোসেন-নুর বানু দম্পতির ছেলে। পেশায় নির্মাণশ্রমিক নুর আলম বাবা-মা ও স্ত্রীকে নিয়ে গাজীপুরের চৌরাস্তা এলাকার তেলিপাড়া মহল্লায় ভাড়া থাকতেন। তার বাবা ভ্যানচালক, মা পোশাকশ্রমিক। মৃত্যুর ১০ মাস আগে বিয়ে করেন নুর আলম। আন্দোলনের সময় খাদিজা ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

পরে তার ছেলেসন্তান জন্ম নেয়। সেই থেকে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙা ইউনিয়নের কাচিচর মুন্সিপাড়া এলাকার কৃষক বাবার বাড়িতে থাকছেন খাদিজা।

এ বিষয়ে উপাচার্য ড. মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে শহীদ নুর আলমের স্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হোস্টেলে অফিস সহায়ক পদে অস্থায়ী ও দিনমজুর ভিত্তিতে চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে তার যোগ্যতা অনুযায়ী স্থায়ী ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হবে। তিনি মেয়েদের হোস্টেলে থাকার সুযোগ পাবেন।’

উপাচার্য আরও বলেন, ‘নুর আলমের আত্মত্যাগ আমাদের আবেগকে তাড়িত করে। নুর আলমের স্ত্রীর অসহায়ত্ব ও আর্থিক নিরাপত্তা এবং সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমরা একটি কাজের ব্যবস্থা করেছি। তিনি কাজে যোগ দিতে চেয়েছেন। তবে নিয়োগপত্র গ্রহণ ও কাজে যোগ দিতে বুধবার বেলা দেড়টা পর্যন্ত তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।’

এ বিষয়ে শহীদ নুর আলমের স্ত্রী খাদিজার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হোস্টেলে কাজে যোগ দেবেন কি না, তা গণমাধ্যম এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি।


সর্বশেষ সংবাদ