৬ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিয়েছেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩৫ PM , আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৫ AM

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় তারা অনিরাপদ ভোগ করছে বলে জানান। এর প্রেক্ষিতে ৬ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে কুয়েট শিক্ষার্থীদের এক প্রতিনিধি দল।
আজ রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীদের ৫ সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দল।
শিক্ষার্থীরা জানান, দুটি বাসে করে তারা দুপুরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৌঁছান। সেখান থেকে শিক্ষার্থীদের ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে যান। শিক্ষার্থীরা তার কাছে উপাচার্য, উপ-উপাচার্যকে অপসারণ এবং নতুন নিয়োগ দেওয়াসহ ৬ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি দেন। এছাড়া মৌখিকভাবে কুয়েটের সংঘর্ষ পরবর্তী সার্বিক অবস্থা তাকে অবহিত করেন।
কুয়েট শিক্ষার্থী মাহফুজ আরিফ বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমাদের স্মারকলিপি দিয়েছি। সেখানে প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব আমাদের দাবিগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন এবং দাবিগুলোর প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ নেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবিগুলো মেনে না নিলে আমরা আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করব। আপাতত ক্যাম্পাস অনিরাপদ হওয়ায় আমাদের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাড়িতে চলে যাবে।’
এর আগে সকাল ৮টায় কুয়েটের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ৮০ জন দুটি বাসে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের মাথায় লাল কাপড় বাঁধা ছিল। তারা দুপুর ২টায় ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর নির্মম হামলা চালিয়েছে ছাত্রদল ও যুবদলের সন্ত্রাসীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি হামলার চার দিন হয়ে গেলেও সন্ত্রাসীরা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ফলে আমরা কুয়েট ক্যাম্পাসকে অনিরাপদ মনে করছি। এ জন্যই আজকে আমরা ঢাকায় আসতে বাধ্য হয়েছি।’
প্রসঙ্গত, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে অর্ধ শতাধিক আহত হয়েছিলেন। এরপর থেকে ৬ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন।