মাভাবিপ্রবি পরিবার থেকে ২০২৪ সালে হারিয়ে গেছেন যারা 

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © টিডিসি ফটো

বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে ২০২৪ সাল। দরজায় কড়া নাড়ছে নতুন আরেকটি বছর। অনেক প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির মাঝে কিছু হারানোর বেদনা মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে তৈরি করেছে বিষাদের ছায়া। এ বছর তারা হারিয়েছে বেশ কিছু মেধাবী শিক্ষার্থীকে। আছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীও। তারা আর কোনোদিন ফিরবেন না। কিন্তু রেখে গেছেন তাদের মূল্যবান সৃষ্টিকর্ম ও স্মৃতি।

গত ১৪ এপ্রিল রাত ১০টায় গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান থেকে বাসায় ফেরার পথে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উড়াল সেতু এলাকায় যাত্রীবাহী একটি বাস একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন আসিফ মাহমুদের স্ত্রী তানজীশ বকশী। পরে আসিফ মাহমুদও মারা যান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

গত ৭ সেপ্টেম্বর মৌসুমী সুমি শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতার কারণে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ইনফরমেশন অ্যা কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইসিটি) বিভাগের ৯ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। ৫ নভেম্বর ভারতের হায়দ্রাবাদে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অপু চন্দ্র ঘোরামী। তিনি ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স (সিপিএস) বিভাগের ৯ম ব্যাচের (২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থী। অসুস্থতার কারণে তিনি দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।

গত ১২ ডিসেম্বর আসমা বেগম ঠান্ডা-জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় টাঙ্গাইলের ব্যুরো হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি হিসাব অফিসের ডেপুটি রেজিস্ট্রার পদে কর্মরত ছিলেন।

আরো পড়ুন: ২০২৪ সালে যাদের হারিয়েছে হাবিপ্রবি

২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মারা যান মোহাম্মদ আব্দুস সবুর। তার ক’দিন আগে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে ভাগিনার বিয়েতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ফজরের নামাজ আদায় করে টাঙ্গাইল থেকে রওনা হন। যাত্রাপথে রাস্তায় মোটরসাইকেল দুর্ঘনায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের সংস্থাপন শাখা-২ এর ডেপুটি রেজিস্ট্রার। 

এ ছাড়া মারা গেছেন ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদে ডিন অফিসের এমএলএসএস মো. ওমর আলী ও একাডেমিক শাখা রেজিস্ট্রার অফিসের এমএলএসএস রাবেয়া বেগম। তাদের আর কখনো ফিরে পাবে না মাভাবিপ্রবি পরিবার।


সর্বশেষ সংবাদ