বু‌য়ে‌টে ছাত্ররাজনী‌তি চান না আবরার ফাইয়াজ

আবরার ফাহাদ ও আবরার ফাইয়াজ
আবরার ফাহাদ ও আবরার ফাইয়াজ  © ফাইল ছবি

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এর জেরে উত্তাল ছাত্র আন্দোলনের মুখে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তি’ জারি করে বুয়েট প্রশাসন। এই ঘটনার চার বছর না পেরোতেই হাইকোর্টের আদেশে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি ফিরতে যাচ্ছে। বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি ফেরাতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সায় এবং ছাত্রলীগের দাবির মধ্যে এক ছাত্রলীগ নেতার রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এমন আদেশ দিলেন হাইকোর্ট। 

তবে বুয়েটে আবার ছাত্ররাজনীতি প্রতিষ্ঠা হোক, তা চান না আবরার ফাহাদের ছোট ভাই ও বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাইয়াজ। সোমবার (১ এপ্রিল) রাতে ফেসবুকের এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, আমি ‘আবরার ফাইয়াজ’, বুয়েট লেভেল -২ টার্ম-১ এর একজন শিক্ষার্থী, আমি বুয়েট ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে কোনো প্রকার সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতি পুনরায় প্রতিষ্ঠা হোক চাই না।

বুয়েটে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে যন্ত্রকৌশল বিভাগে ভর্তি হয়েছেন আবরার ফাইয়াজ। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বাদী হয়ে চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডিতরা সবাই বুয়েট ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। 

আবরার হত্যার জেরে বুয়েটে সব রাজনৈতিক সংগঠন ও এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে ২০১৯ সালের ১১ অক্টোবর জরুরি বিজ্ঞপ্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছিলেন বুয়েটের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রাব্বি। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতিকে গভীর রাতে ক্যাম্পাসে নেওয়ার অভিযোগে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে হলে তার সিট বরাদ্দ বাতিল করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ