স্পন্সরশিপ অনিশ্চয়তায়

আন্তর্জাতিক ব্লক চেইন অলিম্পিয়াডে অনিশ্চিত বুয়েট-ঢাবির চার শিক্ষার্থী

জাতীয় ব্লক চেইন অলিম্পিয়াডে চ্যাম্পিয়ন এই চার শিক্ষার্থী।
জাতীয় ব্লক চেইন অলিম্পিয়াডে চ্যাম্পিয়ন এই চার শিক্ষার্থী।   © সংগৃহীত

বিশ্বমঞ্চে ব্লকচেইন অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের পতাকা ওড়ানোর সু্যোগ চার শিক্ষার্থীর সামনে। কিন্তু স্পন্সরের অভাবে আগামী ১৫ থেকে ১৭ নভেম্বর নেদারল্যান্ডের অ্যাঁমস্টারডামে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ব্লক চেইন অলিম্পিয়াড ২০২৩ যেতে পারছেন না মেধাবী চার শিক্ষার্থী। এর ফলে সম্ভাবনাময় এই চার তরুণ অংশগ্রহণের বিষয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে। 
 
গত ২৬ জুলাই অনুষ্ঠিত জাতীয় ব্লক চেইন অলিম্পিয়াডে চ্যাম্পিয়ন হবার মাধ্যমে এ সুযোগ আসে তাদের সামনে। চার শিক্ষার্থীর এই দলের নাম টিম গ্রে ডেভস। দলটির দলনেতা- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী শাহরিয়ার রহমান নাহিদ। অন্যান্য সদস্যরা হলেন – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ) শিক্ষার্থী এস এস সামিউল ইসলাম ও বুয়েট ২২ ব্যাচের ঘাগড়া সালেম দেবনাথ ও কে এম মাইনূরদোজা।

শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই অলিম্পিয়াডে তাদের চারজনের মূল খরচ হবে বিমানের টিকেট এবং কয়েকদিন সেখানে অবস্থানের জন্য। এর জন্য আনুমানিক ৫/৬ লাখ টাকা প্রয়োজন।   

ব্লকচেইন হলো এমন একধরনের ডিজিটাল প্রযুক্তি যা মূলত লেনদেন কে সংরক্ষণ করে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করলে তথ্য পরিবর্তন করা কিংবা মুছে ফেলা সম্ভব না। সহজ কথায়, ব্লকচেইন এমন একটি ডিসেন্ট্রালাইজড ব্যবস্থা যেখানে সবকিছুর রেকর্ড থাকে, কিন্তু কেউই তা পরিবর্তন করতে পারে না। যা একে করে তোলে নিরাপদ এবং বিশ্বস্ত একটি প্রযুক্তি । কোনো কেন্দ্রীয় অথোরিটি না থাকায় এই প্রযুক্তির স্বচ্ছতা আকাশচুম্বী।

দলের অন্যতম সদস্য কে এম মাইনূরদোজা বলেন, “ব্লক চেইন টেকনোলজির প্রতি আগ্রহ থেকে আমরা নিজেরা নিজেরা এই বিষয়ে জানার চেষ্টা করি এবং চর্চা শুরু করি, জাতীয় অলিম্পিয়াডের কথা শুনে আশাবাদী হই এবং সেখানে অংশগ্রহণ করি। জাতীয় পর্যায়ে যখন চ্যাম্পিয়ন হই তখন থেকেই দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবো ভেবে আমরা সকলেই রোমাঞ্চিত ছিলাম। কিন্তু এখনও কোন কিছুরই ব্যবস্থা করে উঠতে পারিনি”।

কোনো প্রতিষ্ঠান এখন পর্যন্ত যোগাযোগ করেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটা প্রতিষ্ঠান যোগাযোগ করলেও তাদের শর্তের কারনে আমাদের পক্ষে স্পন্সর নেওয়া সম্ভব হয়নি।

তবে এই শিক্ষার্থী আশাবাদী কেউ না কেউ তাদের স্পন্সর করবে। তারা সেখানে গিয়ে যেমন দেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে একিসাথে সেখান থেকে শেখা অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের প্রযুক্তি বিকাশে কাজে লাগাবে। 

শিক্ষার্থীদের সাথে ইমেইলে mynurdoza@gmail.com যোগাযোগ করা যাবে। 


সর্বশেষ সংবাদ