দুই ছাত্রীর মৃত্যুর পর বশেমুরবিপ্রবির চিকিৎসাসেবা উন্নয়নের উদ্যোগ
- বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৩, ০৫:২৭ PM , আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২৩, ০৫:২৭ PM
লেকের পানিতে ডুবে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে পরিবর্তন আনার আশ্বাস দিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)।
বুধবার (২ আগস্ট) দুই ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট (ইএসডি) বিভাগের শিক্ষার্থীরা মেডিকেল সেন্টারের সকল চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বহিষ্কারসহ সাত দফা দাবিতে সকাল থেকে উপাচার্য দপ্তরের সামনে আন্দোলন শুরু করলে এ আশ্বাস দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবির মধ্যে ছিল মেডিকেল সেন্টারের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বহিষ্কার, অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ এবং মেডিকেল সেন্টারে ২৪ ঘন্টা সেবা প্রদান, এক্সপার্ট ড্রাইভারসহ সিসিউ এম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা, মেডিকেল সেন্টারে পর্যাপ্ত ওষুধ, প্রয়োজনীয় মেডিকেল সরঞ্জামসহ মেডিকেল সেন্টারকে ১০ শয্যায় উন্নীতকরণ, রিতু এবং হিয়ার স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি এবং লেকের তলদেশ ভরাট, রেলিং ও সিঁড়ি স্থাপনসহ লেকপাড় সংস্কার।
সাত দাবির প্রেক্ষিতে প্রায় তিন ঘন্টা শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলার পর আন্দোলনস্থলে উপস্থিত হন বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য ড. একিউএম মাহবুব, ট্রেজারার বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. মোবারক হোসেনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা শিক্ষকগণ। এসময় উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সকল দাবি পূরণের লিখিত অঙ্গীকারনামা দেন।
উপাচার্যের সাক্ষরকৃত অঙ্গীকারনামায় বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে নতুন মেডিকেল কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং মেডিকেলের কর্মকর্তা-কর্মচারী, চিকিৎসকদের বহিষ্কারের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা যে দাবি তুলেছেন সে বিষয়ে আগামীকাল (০৩ আগস্ট) ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ০৩ আগস্টের মধ্যে নতুন ২ জন অভিজ্ঞ নার্স আনার ব্যবস্থা করা হবে। এম্বুলেন্স ড্রাইভারকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। আগামী ২ মাসের মধ্যে নতুন এম্বুলেন্স ক্রয় করা হবে। ১০ তারিখের মধ্যে ওষুধ, মেডিকেল ইকুইয়েপমেন্ট নিশ্চিতসহ মেডিকেল সেন্টারকে ১০ শয্যায় উন্নীত করার ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্মৃতিস্তম্ভের কাজ এবং লেক সংস্কারের কাজ আগামীকাল থেকে শুরু হবে।
এর আগে, মঙ্গলবার (২ আগস্ট) লেকের পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করেন তাসপিয়া জাহান রিতু এবং আনিয়া হিয়া। তারা দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
ছাত্রীদের উদ্ধারকারী এক শিক্ষার্থী হাসান মাহমুদ বলেন, দুজন ছাত্রীর একজন পানিতে নেমে ডুবে যায়। তখন বৃষ্টি হচ্ছিল তাই তেমন কেউ ছিল না বাইরে। আরেকজন বান্ধবী তাকে বাচাতে গিয়ে ডুবে গেছে। পরে এক মহিলার দেয়া তথ্যে প্রায় ৫০ জনের মত লেকে নেমে ২০/৩০ মিনিট পর দুজনকে খুঁজে পাই এবং হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে।
উদ্ধারকাজে অংশ নেয়া একাধিক শিক্ষার্থীর অভিযোগ তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে পর্যাপ্ত প্রাথমিক চিকিৎসা পাননি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের এম্বুলেন্সে অক্সিজেন সুবিধাও ছিলনা।