শেষবারের মতো মাভাবিপ্রবিতে শারমিনের নিথর দেহ
- মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৩, ০৪:৩৬ PM , আপডেট: ১৯ মে ২০২৩, ০৪:৩৬ PM
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী শারমিন সুলতানা (২৪)। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) রাতে তার লাশ হাসপাতাল থেকে ক্যাম্পাসে আনা হয়। এ সময় এক হৃদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। শারমিনের নিথর দেহ দেখে কান্নার রোল নামে সহপাঠীদের চোখে।
এর আগে গত বুধবার (১৭ মে) রাত ২টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকার সাভার এনাম মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। ওই দিন রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সহপাঠীর মোটরসাইকেলে শহর থেকে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে তার মাথা ফেটে রক্তাক্ত হন। নিহত শারমিন সুলতানা রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।
তিনি ২০১৪ সালে রংপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০১৬ সালে রংপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।
আরও পড়ুন: কয়েকটি হাসপাতালে ঘুরে শেষে প্রাণটাই গেল মাভাবিপ্রবি ছাত্রীর
প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, বুধবার রাতে টাঙ্গাইল শহর থেকে এক বন্ধুর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফেরার পথে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কাগমারী-চারাবাড়ী সড়কের আরিফ নগর এলাকায় মোটরসাইকেলের সামনে কুকুর দেখে চালক ব্রেক চাপলে শিক্ষার্থী শারমিন সুলতানা মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে যায়।
এতে তার মাথা ফেটে যায়। তখন আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে দ্রুত টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করে। ঢাকা নেওয়ার পথে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ বাড়তে থাকায় রাত ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন।
রাত ১২ টার দিকে ঢাকা নেয়ার পথে অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে সাভার এনাম মেডিকেলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এনাম মেডিকেলে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মীর মো. মোজাম্মেল হক বলেন, শারমিনের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। ক্যাম্পাসের বাইরে দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কিছু বলার নেই। কারিগরি ত্রুটি হতেই পারে।