‘মন্তব্য কখনো গন্তব্য ঠেকাতে পারে না’ প্রেমের সমাপ্তি মৃত্যুতে

খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোছা. খাইরুন নাহার ও মামুন
খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোছা. খাইরুন নাহার ও মামুন  © ফাইল ছবি

ফেসবুকে ৬ মাসের প্রেমের পর বিয়ে করেছিলেন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোছা. খাইরুন নাহার ও এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মামুন হোসেন (২২)। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর কাজী অফিসে গিয়ে দুজন গোপনে বিয়ে করেন। সুখে সংসারও করছিলেন।

তবে সেই সুখ টিকল না বেশিদিন। আজ রোববার (১৪ আগস্ট) খাইরুন নাহারের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ তাৎক্ষনিকভাবে জানা যায়নি। ওই শিক্ষিকার ভাড়া বাসা থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

সম্প্রতি তাদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে। নানা কথা, গুঞ্জন চলছে এই বিয়ে নিয়ে। তবে সমাজের কথায় কান দিতে চাননি এই দম্পতি। কলেজ শিক্ষিকা খায়রুন বলেছিলেন, ‘সমাজে কে কি বলে, তা বড় বিষয় না। আমরা যদি দুজন ঠিক থাকি, তাহলে সব ঠিক। ’

সবার দোয়া চেয়ে মামুন বলেছিলেন, ‘মন্তব্য কখনও গন্তব্য ঠেকাতে পারে না। খাইরুনকে বিয়ে করে আমি খুশি এবং সুখি। সবার দোয়ায় সারাজীবন এভাবেই থাকতে চাই।’

আরো পড়ুন: ছাত্রকে বিয়ে করা সেই শিক্ষিকার ‘আত্মহত্যা’, মামুন আটক

মো. মামুন হোসেনের বয়স ২২ বছর। এখনো কলেজছাত্র তিনি। বছরখানেক আগে ফেসবুকে পরিচয় হয় অন্য এক কলেজের শিক্ষিকার সঙ্গে। এরপর তাদের সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। সেই প্রেম পূর্ণতা পায় বিয়েতে। ছয় মাস আগে গোপনে বিয়ে করেন তারা। সম্প্রতি তাদের বিয়ের বিষয়টি এলাকায় আলোচনায় আসে। ভাইরাল হয় ফেসবুকে। বিয়ের বিষয়টি স্বীকারও করেছেন মামুন ও কলেজ শিক্ষিকা খায়রুন নাহার।

এর আগে কলেজ শিক্ষিকার বিয়ে হয়েছিল। সেই সংসারে একটি সন্তানও আছে তার। বর্তমানে নাটোর শহরের একটি ভাড়া বাসায় নব দম্পতি বসবাস করছেন।  এই বিয়ে মামুনের পরিবার মেনে নিলেও মেনে নেয়নি খায়রুনের পরিবার। ছাত্র-শিক্ষিকার এই বিয়ে নিয়ে সমাজের বিভিন্ন লোকের নানা কথার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের বলে জানান এই দম্পতি।

তবে এসব কথায় গুরুত্ব না দিয়ে সারা জীবন একসঙ্গে থাকার কলেজ শিক্ষিকা খাইরুন নাহার বলেছিলেন, ‘প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। সেই সময় ফেসবুকে মামুনের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর আমাদের দুজনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থেকে ভালবাসা হয়।

তারপর দুজন সিদ্ধান্ত নিয়ে বিয়ে করি। আমার পরিবার থেকে সম্পর্ক মেনে নেয়নি। তার বাড়ি থেকে আমাদের বিয়ে মেনে নিয়েছে। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি আমাকে অনেক ভালোবাসে। আমি অনেক সুখে আছি।’


সর্বশেষ সংবাদ