‘রিফাত হত্যায় মিন্নি ছিল নাটের গুরু’

আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি
আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি  © সংগৃহীত

বহুল আলোচিত রিফাত হত্যার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তার বাবা আ. হালিম দুলাল শরীফ। রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, শুরু থেকেই জানতাম, রিফাত হত্যায় মিন্নি ছিল নাটের গুরু। এই মিন্নির কারণেই আমার ছেলের প্রাণ গেছে।

আজ বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বরগুনার আলোচিত শাহনেওয়াজ রিফাত (রিফাত শরীফ) হত্যা মামলার রায়ে  তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ৬ জনের ফাঁসির নির্দেশ দেন আদালত। বাকি চার আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ের পর নিহত রিফাতের বাবা আ. হালিম দুলাল শরীফ বলেন, আমরা প্রথম থেকেই নিশ্চিত ছিলাম। মিন্নি ছিল নাটের গুরু। কিন্তু কে বিশ্বাস করবে তখন আমাদের কথা। আদালতের এই রায়ে আজ তা দিনের আলোর মতো স্পট হয়ে গেল।

তিনি বলেন, আমার ছেলের হত্যা মামলার রায়ে আমি সন্তুষ্ট। আমরা প্রথম থেকেই জানতাম মিন্নি ছিল এই হত্যাকাণ্ডের মূলে। তার ষড়যন্ত্রে পরিকল্পনায় আমার ছেলেকে হত্যা করেছে নয়ন বন্ডসহ অন্যরা।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি (২৪), আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন (২২), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (২০), রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২৩), মো. হাসান (২০) ও নিহতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি (২০)। আসামিদের মধ্যে মো. মুসা পলাতক আছেন। মুসা ছাড়া অন্য আসামিদের উপস্থিতিতেই এ রায় ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে ওইদিনই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ পাঁচ-ছয় জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ