ডাক্তারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা
‘মেয়েটি খুবই সুন্দরী, নিজেকে সামলে রাখতে পারিনি’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২২, ০২:১৭ PM , আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২২, ০২:৩৭ PM
সিলেটে চিকিৎসা নিতে গিয়ে মানসিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের লালসার শিকার হয়েছেন এক কলেজছাত্রী। প্রেমের ফেলে চার বছর ধরে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন ডা. রমেন্দ্র কুমার সিংহ ওরফে আর.কে.এস রয়েল নামে ওই চিকিৎসক।
ভুক্তভোগী ওই তরুণী সিলেট এমসি কলেজে অনার্সের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। রোববার (১৬ অক্টোবর) রাতে ওই তরুণীর দায়ের করা মামলায় নগরের কাজলশাহ ল্যাবএইড ডায়গনস্টিক সেন্টারের চেম্বার থেকে ভণ্ড ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতার ডা. রমেন্দ্র কুমার সিংহ ওরফে আর.কে.এস রয়েল সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ও মনোরোগ বিভাগের প্রধান। তার গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারের শমসের নগরে।
অপরদিকে ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী পার্শ্ববর্তী কুলাউড়া উপজেলার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি সিলেট শহরের বাগবাড়ি এলাকায় একটি মেসে (ছাত্রী হোস্টেল) থাকেন।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী মাহমুদ গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ওই চিকিৎসক তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করে বলেছেন, ‘মেয়েটি খুবই সুন্দরী, তাই নিজেকে সামলে রাখতে পারিনি। ’
ধর্ষিত তরুণী সিলেট এমসি কলেজে অনার্স পড়ুয়া জানিয়ে ওই চিকিৎসক পুলিশের কাছে আরো জানান, ২০১৮ সালে চিকিৎসা নিতে চেম্বারে আসলে তার (তরুণী) প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন।
পুলিশ জানায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত চার বছর ধরে ওই চিকিৎসক তরুণীটিকে একাধারে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছিলেন। এক পর্যায়ে ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান অভিযুক্ত চিকিৎসক।
এ অবস্থায় গত রোববার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী অভিযুক্ত চিকিৎসকের চেম্বারে গিয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করে বলেন, ‘আমাকে এ মুহূর্তে আপনার বিয়ে করতে হবে। আমার গর্ভে আপনার সন্তান।’ এরপর তিনি থানায় এসে মামলা করলে ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগকারী তরুণী সেবা নিতে গেলে একপর্যায়ে তার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন ওই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ভিকটিমকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানায় ধর্ষণ মামলা করার পর পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।