মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেসের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪২ PM , আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৭ PM

পরীক্ষার হলে নকল ও প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেসের (এম ই এস) উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদের নিয়োগ পরীক্ষায়। গত শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকাসহ আশপাশের অন্তত ১২টি কেন্দ্রে এ নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেস কর্তৃপক্ষ।
নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয়া বেশ কিছু প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার আগেই প্রশ্নপত্র বিভিন্ন গ্রুপে ছড়িয়ে পড়ে। তারা আরো অভিযোগ করেন, প্রশ্নপত্রের ধরণ কেমন হবে, বাংলা নাকি ইংরেজি মাধ্যমের প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হবে এসব তথ্যগুলো বিভিন্ন কোচিং সেন্টার থেকে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও এই নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন এবং অন্যান্য তথ্য অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে রক্ষা করার কথা।
আবেদীন ফাহিম নামের একজন চাকরিপ্রার্থী বলেন, এমন ঘটনার সন্তোষজনক উত্তর চাই নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজকদের কাছে। আমরা আর কত প্রতারিত হবো? এসব অনিয়ম দুর্নীতির কারণে যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে। দিনরাত পরিশ্রম করেও যদি এমন অনিয়মের খবর পাই সেটা দুঃখজনক। আমরা এমন অনিয়মের বিচার চাই।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে আলোচিত এই নিয়োগ পরীক্ষার ছবি শেয়ার করেছেন বিভিন্ন চাকরি প্রার্থীরা। তবে প্রথম শেয়ারকারি অভিযুক্তের নাম জানা যায়নি। শেয়ার করা এসব ছবিতে প্রার্থীর ওয়েমার শিটের ছবি দেখা যায়।
এ বিষয়ে মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেসের পূর্ত পরিদপ্তরের লে. কর্নেল পদমর্যাদার কর্মকর্তা মো. আমজাদ হোসেন দীদার বলেন, পরীক্ষার কেন্দ্রে মোবাইল ফোন বহন করা সম্পূর্ণ নিষেধ থাকে। কিছু প্রার্থী এ অনিয়মের আশ্রয় নিতে গিয়ে বহিষ্কারও হয়েছেন। কয়েকজনকে আমরা বিভিন্ন সংস্থার কাছে তুলে দিয়েছি। তবে অভিযুক্ত ওই প্রার্থী সামনের দিকের ডেস্ক বসায় পরীক্ষা শেষে ডেস্ক থেকে ফোন নিয়ে ছবি তোলেন, পরে সেটা ফেসবুকে শেয়ার করেন বলে আমরা জানতে পারি। এ ঘটনার পরে ওই প্রার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এই কর্মকর্তা বলেন, এখানে প্রশ্ন ফাঁস কিংবা পরীক্ষার আগে প্রশ্নের ছবি তোলার মতো কিছু ঘটার সম্ভাবনা নেই। নিয়োগ পরীক্ষায় তেজগাওঁ এলাকার একটি কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ওই আবেদনকারীকে আমরা তৎক্ষণাৎ বহিষ্কার করেছি। পাশাপাশি তার সকল তথ্য রেখে দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে যদি আমরা প্রয়োজন মনে করি তাহলে তার সাথে আবার যোগাযোগ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, এই নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন আনা এবং কেন্দ্রে পৌঁছানোর প্রতিটি স্তরে ছবি তোলা ভিডিও রাখার মতো অনেক ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। আমরা প্রতিটি স্তরে পুনঃনিরীক্ষণ করেছি। কোথা কোনো দুর্বলতা দেখা যায় নি। এর বাইরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেসব ছবি ছড়ানো হয়েছে, সেখানে একজনের আইডি থেকেই সেটা গিয়েছে। ছবিগুলো ছড়ানোর সময় ছিল পরীক্ষা শেষের মুহূর্তে। কাজেই প্রশ্ন ফাঁস কিংবা অন্য কোনো দুর্বলতার প্রশ্ন ওঠে না।