বইয়ের নাম: নয়াচীনের সাফল্যের মুকুটে সাতটি পালক। লেখক: আলিমুল হক ও ছাও ইয়ান হুয়া। বিষয়বস্তু: সিপিসির (চীনা কমিউনিস্ট পার্টি) হাত ধরে চীনের ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন প্রকল্পের ৭ টি খাত।
ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব একটা ভ্রমণবিলাসী মানুষ না হলেও ভ্রমণকে আমি উপভোগ করি। ছোট্ট এই জীবনের অনেক বড় পাওয়া ছিল ২০১৮ সাল, যখন আমি চীন তথা পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বন্দর নগরী সাংহাইয়ের ভ্রমণ করি। চীন যাওয়ার আগে থেকেই দেশটি নিয়ে প্রতিদিন নানান গল্প শুনতাম খুব কাছের মানুষের মুখ থেকে। এরপর এক মাসের ভ্রমণ আমাকে দিয়েছে নতুন এক অভিজ্ঞতা।
টানা ৩০ দিন শুধু ঘুরেফিরে কাটিয়েছি আর অবাক হয়েছি চীনের সিস্টেমেটিক লাইফস্টাইল দেখে। বাসার নিচের পার্ক থেকে শুরু করে বাজার, স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, শপিংমল, টুরিস্ট স্পট, বাইক, স্কুটি, সাইকেল, ইলেক্ট্রিক গাড়ি, ফলের দোকান প্রতিটা বিষয় ছিল একেকটা বিস্ময়। সবখানেই এত সুন্দর-সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা দেখেছি, যা আমাকে ছুঁয়ে গেছে সবচেয়ে বেশি।
পৃথিবীর সব দেশেই এখন চীনকে নিয়ে আলোচনা হয়, বিশেষত চীনের উন্নয়ন এখন আলোচনার তুঙ্গে। এক সময়ের হতদরিদ্র চীন বর্তমান সময়ে অর্থনীতি, প্রযুক্তি, শিক্ষা ও রাজনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছে উন্নত দেশগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে। চীনের সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে গত ১০ বছরে।
এই ১০ বছরের সাফল্যের কর্ণধার নিঃসন্দেহে শি চিনফিং ও তার পার্টি ‘সিপিসি’। গণচীন সম্পর্কে মোটামুটি জানা, অল্পকিছুদিনের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা এবং শেখ মুজিবুর রহমানের ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বই পড়ার পর দেশটি সম্পর্কে আরো জানার আগ্রহ পেয়ে বসে আমার।
এই আগ্রহের কিছু দিক খোলাসা হয়েছে আলিমুক হকের ‘‘নয়াচীনের সাফল্যের মুকুটে সাতটি পালক’’ বইটি পড়ে। এই বইটিতে দেখা যাবে সিপিসির অতীত ইতিহাস, সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন ও ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সিপিসির ভূমিকা, একইসাথে চীনে মার্ক্সবাদের প্রভাব বৃদ্ধি ও গণমুখী চিন্তাভাবনার বিকাশ।
একটি দেশ ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনে সে দেশের সরকারব্যবস্থা, গৃহীত কার্যক্রম, কল্যাণমূলক সরকার গঠন, স্বল্পমেয়াদী-দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ, দারিদ্রমুক্ত রাষ্ট্রগঠনের পদক্ষেপ, শিক্ষা ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সর্বোপরি জনগণকে জনশক্তিতে পরিণত করার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে 'সিপিসির' কর্মসূচি কতটা গণমুখী ছিল সেসবের পরিমিত ইতিহাস।
মহাকাশ গবেষণা, চীনের সেতু, দ্রুতগতির রেল, সুপারকম্পিউটার, নতুন জ্বালানি, দারিদ্র্যবিমোচন ও ক্রীড়া বিষয়ক মোট ৭ টি টপিক নিয়ে লেখক আলোচনা করেছেন যথাসম্ভব তথ্য উপাত্তসহ। বইটার সবচেয়ে দারুণ দিক হচ্ছে লেখকের বর্ণনাত্মক পরিচর্যারীতি। প্রতিটা টপিকের বর্ণনা একেবারেই ঝরঝরে, সহজ, সরল ও সাবলীল বাংলায় দেওয়া হয়েছে যেটা খুব উপভোগ্য ছিল। পড়তে গিয়ে কোনো শব্দ নিয়ে খটকা কিংবা বিরক্তির উদ্রেক হয়না।
লেখকের ভাষাজ্ঞান এবং শব্দপ্রয়োগ অত্যন্ত চমৎকার। আলোচ্য সব ক্ষেত্রেই যথাযথ ও যথেষ্ট তথ্য সমৃদ্ধ বই এটি। লেখক বিষয়ভিত্তিক আলোচনার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছবি সংযোজন করেছেন, যা বইটির অনন্যতায় যুক্ত করেছে ভিন্ন মাত্রা। পুরো বইটিই যেহেতু তথ্যবহুল তাই মাঝেমধ্যে বেখেয়ালি হওয়াটাই স্বাভাবিক কিন্তু বর্ণনার ফাঁকে ফাঁকে ছবিতে চোখ বুলালে বর্ণনাগুলোর একটা 'প্র্যাকটিকাল ইমেজ' তৈরি হয় মানসপটে।
বইটা পড়াকালীন সময়ে বুদ হয়ে ছিলাম শি চিনফিং-এর কার্যক্রমগুলোর বিবরণে। তথ্য উপাত্ত দেখতে দেখতে যখন মোটাদাগে ক্লান্তির রেশ চলে এসেছিল, তখন শি চিনফিং-এর গৃহীত পদক্ষেপ, জীবনাচরণ, গ্রামীণ মানুষের সাথে বসবাস, দারিদ্র দূরীকরণে তাঁর বুদ্ধিমত্তা আমাকে আলোড়িত করেছে ব্যাপকভাবে। একজন সফল রাষ্ট্রনেতা যে কতটা গণমুখী চিন্তা করতে পারে আর তাৎক্ষণিক জনকল্যাণমুখী বুদ্ধি বের করতে পারে এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত শি চিনফিং।
দারিদ্র্য বিমোচনের মতো অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং একটা বিষয়কে স্মার্টলি মোকাবিলা করার জন্য শি চিনফিং-এর গ্রামীণ জীবনে অভ্যস্ততা, গ্রামীণ মানুষের সাথে মেলামেশা, গ্রামে বসবাসের বর্ণনাগুলোতে আমি মুগ্ধ হয়েছি অনেক বেশি। শি চিনফিং আমার কাছে কখনো মনে হয়েছে মাওলানা ভাসানী, কখনো শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, কখনও বা শেখ মুজিবুর রহমান। কারণ এই নেতারাও মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়েছেন, জনগণের খোঁজ নিয়েছেন, গণমানুষের একজন হয়েছিলেন। শি চিনফিংও এখানে গণমানুষের একজন।
বইটাতে অতীতে চীনের চরম দারিদ্র্যের পরিচয় পাওয়া যায় বেশ কয়েক জায়গায়, ‘‘...গ্রামবাসীরা প্রায়ই একটা কথা বলত: বসন্ত উৎসবের সময় তথা জানুয়ারি মাসে খাবার বেশি। ফেব্রুয়ারি মাসে খাবার কম। আর মার্চ ও এপ্রিল মাসে প্রায় সময় ক্ষুধা নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়।’’
নয়াচীন গঠনের সময়টায় মাত্র ১৬ বছর বয়সে শি চিনফিং রাজধানী বেইজিং-এর উন্নত জীবনের সুবিধাভোগী না হয়ে পাড়ি জমান ইয়ানআন অঞ্চলে এবং আত্মনিয়োগ করেন গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সেবায়। কৃষিকাজে অভ্যস্ত না হলেও শূন্য থেকে শুরু করে ২/৩ বছরে শিখেছেন কৃষিকাজ, ৫০ কেজির বেশি ওজনের বোঝা মাথায় নিয়ে অতিক্রম করতেন ৫ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ।
কাজের স্কোর ১০ হলে ৯ পয়সা পাওয়া যেতো যা দিয়ে সবচেয়ে সস্তা সিগারেট হতো। ফলে প্রায়শই ক্ষুধার্ত থাকতেন আর সেই থেকে গ্রামাঞ্চলকে দারিদ্রমুক্ত করতে চিন্তাভাবনা ও গবেষণা শুরু করলেন এবং সেসব চিন্তাভাবনার সফল বাস্তবায়ন আজকের দরিদ্রমুক্ত চায়না। অর্থনৈতিক সংস্কারে শি চিনফিং-এর উল্লেখযোগ্য একটা পদক্ষেপ ছিল, ‘আধা উপ-নগর উন্নয়ননীতি’ (semi sub-urban development policy) এই নীতিতে তিনি নজর দিলেন কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপনের দিকে।
যার বর্ণনা পাওয়া যায় লেখকের বর্ণনায়, ‘‘চাষীদের বোঝাতে লাগলেন, শুধু গম উৎপাদন করে বসে থাকার চেয়ে গম প্রক্রিয়াজাত করে ময়দা, নুডলস, কেক, কিংবা বিস্কুট তৈরি করাই বরং লক্ষ্য হওয়া উচিত।’’
পরবর্তীতে তিনি নতুন আরও একটা উপায় বের করলেন যার নাম ‘‘ক্ষুদ্র বর্গাচাষীদের সমবায়’’। যার মাধ্যমে একটি বড় কমিউনিটি-ফার্মের ছোট একটি অংশ কয়েকজন ভূমিহীন চাষী ইজারা নিয়ে নিজেরাই পছন্দের ফসল চাষ ও বিক্রি করবেন। অনেকের বাধা এলেও শেষতক তাঁর এই প্রকল্পটি সফলতার মুখ দেখেছিল।
দারিদ্র্য বিমোচনের পুরো অংশে শি চিনফিং-এর এসব পদক্ষেপ পড়ে তাঁকে আমার কাছে প্রেসিডেন্ট মনে হয়নি বরং তিনি আমার ভাবনায় জায়গা করে নিয়েছেন গ্রামীণ এক দক্ষ নায়করূপে যিনি সমস্ত প্রতিকূলতায় একটা জাতিকে এগিয়ে দিতে পারেন কয়েক শতাব্দী। লেখক সুনিপুণভাবে এসব বর্ণনা দিয়েছেন একেবারেই সরল ও প্রাঞ্জল বাংলা ভাষায়। এ ধরনেরর সহজ শব্দে লেখা বই খুব কমই দেখা যায়।
বইটিতে চীনের যে কয়েকজন খেলোয়াড়ের পরিচয় পাওয়া যায় তাঁরা হলেন, দৌড়বিদ লিউ ছাংছুন, দুরপাল্লার দৌড়বিদ ওয়াং চুনসিয়া, জিমন্যাস্ট লি নিং, ভলিবলার লাং পিং, টেবিল টেনিস খেলোয়াড় ও কোচ লিউ কুওলিয়াং, নারী টেবিল টেনিস খেলোয়াড় তেং ইয়াপিং, ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় লিন তান, বাস্কেটবলার ইয়াও মিং, সাঁতারু সুন ইয়াং, ডাইভার কুও চিং চিং।
চীনের দ্রুতগতির রেল এক অপার বিস্ময়। অতি অল্প সময়ে পাড়ি দেওয়া যায় মাইলের পর মাইল রাস্তা। এই রেলের প্রাত্যহিক বর্ণনায় পাঠককে চমৎকৃত হতেই হয়, ‘‘দ্রুতগতির ট্রেনের ওপর যাত্রীদের আস্থা এতো দৃঢ় যে, বেইজিংয়ে কর্মরত অনেকে রাজধানীর বাইরে বাস করেন দ্রুতগতির ট্রেনের ওপর ভরসা করে। বিশেষ করে, পার্শ্ববর্তী শহর থিয়েন চিন থেকে প্রতিদিন দ্রুতগতির ট্রেনে বেইজিং এসে অফিস করেন এবং বিকেলে আবার দ্রুতগতির ট্রেনে বাড়ি ফিরে যান।’’
দ্রুতগতির রেল চ্যাপ্টারের প্রতিটি বর্ণনা মনোমুগ্ধকর। টিকেটিং সিস্টেম, রেল সিস্টেম, তরুণ ইঞ্জিনিয়ার, প্রযুক্তিবিদ, গবেষক কর্মীদের নানান পদক্ষেপ আলোড়িত করার মতো।
ইন্টারনেট ব্যবস্থা সহজলভ্য হওয়ার ফলে চীনের নানারকম সেতুর ভিডিও ফেইসবুক কিংবা ইউটিউবে হরহামেশাই দেখা যায়। বইটাতে চীনের বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সেতুর বর্ণনা, নির্মাণ কৌশল তুলে ধরা হয়েছে। ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে চীনে আধুনিক সব কৌশল আবিষ্কার করে নতুন নতুন সেতু তৈরি করা হয়েছে যেগুলো নতুনত্বে একেকটা একেক অবকাঠামোয় নির্মিত।
দুয়েকটা সেতুর নাম যদি উল্লেখ করি সেগুলো হচ্ছে, ছোংছিং ছাওথিয়ানমেন সেতু, হংকং- চুহাই-ম্যাকাও সেতু, নানশা সেতু, পালিং সেতু, ছিংশুই সেতু, ইয়াছি সেতু, পেইফান সেতু প্রভৃতি। চাইনিজ উচ্চারণ জটিল হলেও সহজ বাংলায় সেতুগুলোর নাম এবং বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় মনে হয়েছে আমার কাছে।
বর্তমানে তরুণ প্রজন্ম ডিজিটালি ইনভলভ অনেক বেশি। বইটিতে ডিজিটাল মাধ্যম-সুপারকম্পিউটার, মহাকাশ, ট্রেন এবং সেতুর যে তথ্য পাওয়া যায় তা এই প্রজন্মকে অতি সহজেই প্রভাবিত করবে বলে আমার ধারণা। পুরো পৃথিবী বর্তমানে প্রযুক্তিগত দিক থেকে চীনের উপর নির্ভরশীল। চীন নিজেদের মেধাশক্তি কাজে লাগিয়ে আবিষ্কার করে চলেছে নতুন নতুন ইলেকট্রনিক গেজেট। সুপারকম্পিউটার চ্যাপ্টার পড়তে গিয়েও হয়েছি বিস্মিত।
চীনের সুপারকম্পিউটার গুলো সম্পর্কে পড়ার পর চীনের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত শক্তি সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া যায়। চীনের সুপারকম্পিউটার ‘সানওয়ে থাইহু-লাইট'( Sunway TaihuLight) ‘টপ ৫০০’ (TOP 500) তালিকার শীর্ষস্থান দখলকারী। এছাড়াও থিয়ানহ্য-১, থিয়ানহ্য-২, ইনহ্য সুপারকম্পিউটার সিরিজ, তাওনিং সুপারকম্পিউটার সিরিজ, সানওয়ে সিরিজ নিয়েও আছে বিস্তারিত আলোচনা।
মহাকাশে বিচরণের দিক থেকেও এখন আলোচনার অংশ চীন। জলে স্থলে সফল সব যোগাযোগ মাধ্যম নির্মাণে সফলতার সাথেসাথে মহাকাশেও এগিয়ে যাচ্ছে চীনের অংশগ্রহণ। সেই অংশগ্রহণের অংশ হিসেবেই নির্মিত হয়েছে মহাকাশকেন্দ্র ‘থিয়ানকং’ যার অর্থ ‘স্বর্গীয় প্রাসাদ’। মহাকাশকেন্দ্রের মূল অংশের নাম ‘থিয়ানহ্য’ যার অর্থ ‘স্বর্গের ঐকতান’।
‘থিয়ানহ্য’তে নভোচারীদের বসবাসের ব্যবস্থা আরামদায়ক করার জন্য ইনস্টল করা আছে এয়ার কন্ডিশনার, মাইক্রোওয়েভ আভেন, রেফ্রিজারেটর, পানিধারক ও ট্রেডমিল। প্রতিজন নভোচারীর জন্য একটি করে বিশেষ মোবাইল ফোনও থাকবে, যা দিয়ে তিনি পৃথিবীর মানুষের সাথে যেমন যোগাযোগ করতে পারবেন, তেমনি মহাকাশকেন্দ্রের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
এছাড়াও চীনের চন্দ্রাভিযান, মঙ্গলগ্রহে চীনের মহাকাশযান, গ্যালাক্সির শেষ প্রান্তে চীনের নজর, মহাশূন্যে চীনের ৩ শতাধিক সক্রিয় কৃত্রিম উপগ্রহ, লংমার্চ সংগ্রাহক-রকেট প্রভৃতি পড়তে গিয়ে পাঠক হিসেবে চমৎকৃত হয়েছি। প্রতিটি বিষয়ে তথ্য উপাত্ত, মজার মজার ঘটনা পৃথিবীর বাইরে আরেক পৃথিবী নিয়ে ভাবতে প্রভাবিত করে।
পরিশেষে, আমার কাছে মনে হয়েছে বইটা উন্নয়নের এক উজ্জ্বল দলিল যেখানে পাওয়া যায় সফল কর্মপদ্ধতি, জনগণকে জনশক্তিতে পরিণত করার পদ্ধতিগত পথ। এছাড়াও তরুণ এক কর্মী থেকে সফল নেতা হয়ে উঠার বিবরণ। বই এবং বইয়ের লেখকের জন্য রইলো অফুরান শুভকামনা।
SELECT `id_menuitem` as `id`, `item_name` `name`, `slug`, `menu_url` `MenuLink`, `parent_id` as `parent_menu_id`, `link_type` as `LinkType`
FROM `wg_menuitem`
WHERE `id_menu` = 5
AND `status` = 1
ORDERBY `menu_order` ASCLIMIT 100
Event: dbquery
Events
0.03 ms
Query
Database
0.42 ms
SELECT `id_menuitem` as `id`, `item_name` `name`, `slug`, `menu_url` `MenuLink`, `parent_id` as `parent_menu_id`, `link_type` as `LinkType`
FROM `wg_menuitem`
WHERE `id_menu` = 15
AND `status` = 1
ORDERBY `menu_order` ASCLIMIT 100
Event: dbquery
Events
0.02 ms
Query
Database
0.32 ms
SELECT `id_menuitem` as `id`, `item_name` `name`, `slug`, `menu_url` `MenuLink`, `parent_id` as `parent_menu_id`, `link_type` as `LinkType`
FROM `wg_menuitem`
WHERE `id_menu` = 17
AND `status` = 1
ORDERBY `menu_order` ASCLIMIT 100
Event: dbquery
Events
0.02 ms
Query
Database
0.31 ms
SELECT `id_menuitem` as `id`, `item_name` `name`, `slug`, `menu_url` `MenuLink`, `parent_id` as `parent_menu_id`, `link_type` as `LinkType`
FROM `wg_menuitem`
WHERE `id_menu` = 16
AND `status` = 1
ORDERBY `menu_order` ASCLIMIT 100
Event: dbquery
Events
0.02 ms
Query
Database
0.29 ms
SELECT *
FROM `wg_front_settings`
Event: dbquery
Events
0.02 ms
Connecting to Database: "prev"
Database
0.91 ms
Query
Database
2.41 ms
SELECT *
FROM `wg_article`
WHERE `status` = 1
AND `id_article` = '88545'
Event: dbquery
Events
0.02 ms
Query
Database
0.36 ms
SELECT *
FROM `wg_category`
WHERE `id_category` = '127'
Event: dbquery
Events
0.02 ms
Query
Database
4.42 ms
SELECT `article_body`
FROM `wg_articledetail`
WHERE `id_article` = '88545'
Event: dbquery
Events
0.02 ms
Query
Database
2.29 ms
SELECT *
FROM `wg_article`
WHERE `status` = 1
AND `id_article` IN ('87466','85660')
ORDERBY `id_article` DESC
Event: dbquery
Events
0.02 ms
Query
Database
1.27 ms
SELECT *
FROM `wg_article`
WHERE `status` = 1
AND `id_article` != '88545'
ORDERBY `id_article` DESCLIMIT 10
Event: dbquery
Events
0.02 ms
Query
Database
0.87 ms
SELECT `id_menuitem`, `parent_id`, `item_name`, `link_type`, `menu_url`
FROM `wg_menuitem`
WHERE `status` = 1
AND `id_menu` = 1
ORDERBY `menu_order` asc
Event: dbquery
Events
0.02 ms
View: detail.php
Views
1.02 ms
After Filters
Timer
0.01 ms
Required After Filters
Timer
0.18 ms
Database (11 total Queries, 11 of them unique across 2 Connections)
Time
Query String
0.73 ms
SELECT `id_menuitem` as `id`, `item_name` `name`, `slug`, `menu_url` `MenuLink`, `parent_id` as `parent_menu_id`, `link_type` as `LinkType`
FROM `wg_menuitem`
WHERE `id_menu` = 5
AND `status` = 1
ORDERBY `menu_order` ASCLIMIT 100
SELECT `id_menuitem` as `id`, `item_name` `name`, `slug`, `menu_url` `MenuLink`, `parent_id` as `parent_menu_id`, `link_type` as `LinkType`
FROM `wg_menuitem`
WHERE `id_menu` = 15
AND `status` = 1
ORDERBY `menu_order` ASCLIMIT 100
SELECT `id_menuitem` as `id`, `item_name` `name`, `slug`, `menu_url` `MenuLink`, `parent_id` as `parent_menu_id`, `link_type` as `LinkType`
FROM `wg_menuitem`
WHERE `id_menu` = 17
AND `status` = 1
ORDERBY `menu_order` ASCLIMIT 100
SELECT `id_menuitem` as `id`, `item_name` `name`, `slug`, `menu_url` `MenuLink`, `parent_id` as `parent_menu_id`, `link_type` as `LinkType`
FROM `wg_menuitem`
WHERE `id_menu` = 16
AND `status` = 1
ORDERBY `menu_order` ASCLIMIT 100
<p style="text-align: justify;">বইয়ের নাম: নয়াচীনের সাফল্যের মুকুটে সাতটি পালক।<br />লেখক: আলিমুল হক ও ছাও ইয়ান হুয়া।<br />বিষয়বস্তু: সিপিসির (চীনা কমিউনিস্ট পার্টি) হাত ধরে চীনের ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন প্রকল্পের ৭ টি খাত।</p>
<p style="text-align: justify;">ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব একটা ভ্রমণবিলাসী মানুষ না হলেও ভ্রমণকে আমি উপভোগ করি। ছোট্ট এই জীবনের অনেক বড় পাওয়া ছিল ২০১৮ সাল, যখন আমি চীন তথা পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বন্দর নগরী সাংহাইয়ের ভ্রমণ করি। চীন যাওয়ার আগে থেকেই দেশটি নিয়ে প্রতিদিন নানান গল্প শুনতাম খুব কাছের মানুষের মুখ থেকে। এরপর এক মাসের ভ্রমণ আমাকে দিয়েছে নতুন এক অভিজ্ঞতা।</p>
<p style="text-align: justify;">টানা ৩০ দিন শুধু ঘুরেফিরে কাটিয়েছি আর অবাক হয়েছি চীনের সিস্টেমেটিক লাইফস্টাইল দেখে। বাসার নিচের পার্ক থেকে শুরু করে বাজার, স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, শপিংমল, টুরিস্ট স্পট, বাইক, স্কুটি, সাইকেল, ইলেক্ট্রিক গাড়ি, ফলের দোকান প্রতিটা বিষয় ছিল একেকটা বিস্ময়। সবখানেই এত সুন্দর-সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা দেখেছি, যা আমাকে ছুঁয়ে গেছে সবচেয়ে বেশি।</p>
<p style="text-align: justify;">পৃথিবীর সব দেশেই এখন চীনকে নিয়ে আলোচনা হয়, বিশেষত চীনের উন্নয়ন এখন আলোচনার তুঙ্গে। এক সময়ের হতদরিদ্র চীন বর্তমান সময়ে অর্থনীতি, প্রযুক্তি, শিক্ষা ও রাজনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছে উন্নত দেশগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে। চীনের সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে গত ১০ বছরে।</p>
<p style="text-align: justify;">এই ১০ বছরের সাফল্যের কর্ণধার নিঃসন্দেহে শি চিনফিং ও তার পার্টি ‘সিপিসি’। গণচীন সম্পর্কে মোটামুটি জানা, অল্পকিছুদিনের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা এবং শেখ মুজিবুর রহমানের ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বই পড়ার পর দেশটি সম্পর্কে আরো জানার আগ্রহ পেয়ে বসে আমার।</p>
<p style="text-align: justify;">এই আগ্রহের কিছু দিক খোলাসা হয়েছে আলিমুক হকের ‘‘নয়াচীনের সাফল্যের মুকুটে সাতটি পালক’’ বইটি পড়ে। এই বইটিতে দেখা যাবে সিপিসির অতীত ইতিহাস, সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন ও ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সিপিসির ভূমিকা, একইসাথে চীনে মার্ক্সবাদের প্রভাব বৃদ্ধি ও গণমুখী চিন্তাভাবনার বিকাশ।</p>
<p style="text-align: justify;">একটি দেশ ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনে সে দেশের সরকারব্যবস্থা, গৃহীত কার্যক্রম, কল্যাণমূলক সরকার গঠন, স্বল্পমেয়াদী-দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ, দারিদ্রমুক্ত রাষ্ট্রগঠনের পদক্ষেপ, শিক্ষা ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সর্বোপরি জনগণকে জনশক্তিতে পরিণত করার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে 'সিপিসির' কর্মসূচি কতটা গণমুখী ছিল সেসবের পরিমিত ইতিহাস।</p>
<p style="text-align: justify;">মহাকাশ গবেষণা, চীনের সেতু, দ্রুতগতির রেল, সুপারকম্পিউটার, নতুন জ্বালানি, দারিদ্র্যবিমোচন ও ক্রীড়া বিষয়ক মোট ৭ টি টপিক নিয়ে লেখক আলোচনা করেছেন যথাসম্ভব তথ্য উপাত্তসহ। বইটার সবচেয়ে দারুণ দিক হচ্ছে লেখকের বর্ণনাত্মক পরিচর্যারীতি। প্রতিটা টপিকের বর্ণনা একেবারেই ঝরঝরে, সহজ, সরল ও সাবলীল বাংলায় দেওয়া হয়েছে যেটা খুব উপভোগ্য ছিল। পড়তে গিয়ে কোনো শব্দ নিয়ে খটকা কিংবা বিরক্তির উদ্রেক হয়না।</p>
<p style="text-align: justify;">লেখকের ভাষাজ্ঞান এবং শব্দপ্রয়োগ অত্যন্ত চমৎকার। আলোচ্য সব ক্ষেত্রেই যথাযথ ও যথেষ্ট তথ্য সমৃদ্ধ বই এটি। লেখক বিষয়ভিত্তিক আলোচনার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছবি সংযোজন করেছেন, যা বইটির অনন্যতায় যুক্ত করেছে ভিন্ন মাত্রা। পুরো বইটিই যেহেতু তথ্যবহুল তাই মাঝেমধ্যে বেখেয়ালি হওয়াটাই স্বাভাবিক কিন্তু বর্ণনার ফাঁকে ফাঁকে ছবিতে চোখ বুলালে বর্ণনাগুলোর একটা 'প্র্যাকটিকাল ইমেজ' তৈরি হয় মানসপটে।</p>
<p style="text-align: justify;">বইটা পড়াকালীন সময়ে বুদ হয়ে ছিলাম শি চিনফিং-এর কার্যক্রমগুলোর বিবরণে। তথ্য উপাত্ত দেখতে দেখতে যখন মোটাদাগে ক্লান্তির রেশ চলে এসেছিল, তখন শি চিনফিং-এর গৃহীত পদক্ষেপ, জীবনাচরণ, গ্রামীণ মানুষের সাথে বসবাস, দারিদ্র দূরীকরণে তাঁর বুদ্ধিমত্তা আমাকে আলোড়িত করেছে ব্যাপকভাবে। একজন সফল রাষ্ট্রনেতা যে কতটা গণমুখী চিন্তা করতে পারে আর তাৎক্ষণিক জনকল্যাণমুখী বুদ্ধি বের করতে পারে এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত শি চিনফিং।</p>
<p style="text-align: justify;"><span style="color: #3366ff;"><strong>আরও পড়ুন: <a style="color: #3366ff;" href="https://thedailycampus.com/book-library/44440/%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%95-%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%89-%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5">বুক রিভিউ: হেরমান হেসের ‘সিদ্ধার্থ’</a></strong></span></p>
<p style="text-align: justify;">দারিদ্র্য বিমোচনের মতো অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং একটা বিষয়কে স্মার্টলি মোকাবিলা করার জন্য শি চিনফিং-এর গ্রামীণ জীবনে অভ্যস্ততা, গ্রামীণ মানুষের সাথে মেলামেশা, গ্রামে বসবাসের বর্ণনাগুলোতে আমি মুগ্ধ হয়েছি অনেক বেশি। শি চিনফিং আমার কাছে কখনো মনে হয়েছে মাওলানা ভাসানী, কখনো শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, কখনও বা শেখ মুজিবুর রহমান। কারণ এই নেতারাও মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়েছেন, জনগণের খোঁজ নিয়েছেন, গণমানুষের একজন হয়েছিলেন। শি চিনফিংও এখানে গণমানুষের একজন।</p>
<p style="text-align: justify;">বইটাতে অতীতে চীনের চরম দারিদ্র্যের পরিচয় পাওয়া যায় বেশ কয়েক জায়গায়, ‘‘...গ্রামবাসীরা প্রায়ই একটা কথা বলত: বসন্ত উৎসবের সময় তথা জানুয়ারি মাসে খাবার বেশি। ফেব্রুয়ারি মাসে খাবার কম। আর মার্চ ও এপ্রিল মাসে প্রায় সময় ক্ষুধা নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়।’’</p>
<p style="text-align: justify;">নয়াচীন গঠনের সময়টায় মাত্র ১৬ বছর বয়সে শি চিনফিং রাজধানী বেইজিং-এর উন্নত জীবনের সুবিধাভোগী না হয়ে পাড়ি জমান ইয়ানআন অঞ্চলে এবং আত্মনিয়োগ করেন গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সেবায়। কৃষিকাজে অভ্যস্ত না হলেও শূন্য থেকে শুরু করে ২/৩ বছরে শিখেছেন কৃষিকাজ, ৫০ কেজির বেশি ওজনের বোঝা মাথায় নিয়ে অতিক্রম করতেন ৫ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ।</p>
<p style="text-align: justify;">কাজের স্কোর ১০ হলে ৯ পয়সা পাওয়া যেতো যা দিয়ে সবচেয়ে সস্তা সিগারেট হতো। ফলে প্রায়শই ক্ষুধার্ত থাকতেন আর সেই থেকে গ্রামাঞ্চলকে দারিদ্রমুক্ত করতে চিন্তাভাবনা ও গবেষণা শুরু করলেন এবং সেসব চিন্তাভাবনার সফল বাস্তবায়ন আজকের দরিদ্রমুক্ত চায়না। অর্থনৈতিক সংস্কারে শি চিনফিং-এর উল্লেখযোগ্য একটা পদক্ষেপ ছিল, ‘আধা উপ-নগর উন্নয়ননীতি’ (semi sub-urban development policy) এই নীতিতে তিনি নজর দিলেন কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপনের দিকে।</p>
<p style="text-align: justify;">যার বর্ণনা পাওয়া যায় লেখকের বর্ণনায়, ‘‘চাষীদের বোঝাতে লাগলেন, শুধু গম উৎপাদন করে বসে থাকার চেয়ে গম প্রক্রিয়াজাত করে ময়দা, নুডলস, কেক, কিংবা বিস্কুট তৈরি করাই বরং লক্ষ্য হওয়া উচিত।’’</p>
<p style="text-align: justify;">পরবর্তীতে তিনি নতুন আরও একটা উপায় বের করলেন যার নাম ‘‘ক্ষুদ্র বর্গাচাষীদের সমবায়’’। যার মাধ্যমে একটি বড় কমিউনিটি-ফার্মের ছোট একটি অংশ কয়েকজন ভূমিহীন চাষী ইজারা নিয়ে নিজেরাই পছন্দের ফসল চাষ ও বিক্রি করবেন। অনেকের বাধা এলেও শেষতক তাঁর এই প্রকল্পটি সফলতার মুখ দেখেছিল।</p>
<p style="text-align: justify;">দারিদ্র্য বিমোচনের পুরো অংশে শি চিনফিং-এর এসব পদক্ষেপ পড়ে তাঁকে আমার কাছে প্রেসিডেন্ট মনে হয়নি বরং তিনি আমার ভাবনায় জায়গা করে নিয়েছেন গ্রামীণ এক দক্ষ নায়করূপে যিনি সমস্ত প্রতিকূলতায় একটা জাতিকে এগিয়ে দিতে পারেন কয়েক শতাব্দী। লেখক সুনিপুণভাবে এসব বর্ণনা দিয়েছেন একেবারেই সরল ও প্রাঞ্জল বাংলা ভাষায়। এ ধরনেরর সহজ শব্দে লেখা বই খুব কমই দেখা যায়।</p>
<p style="text-align: justify;">বইটিতে চীনের যে কয়েকজন খেলোয়াড়ের পরিচয় পাওয়া যায় তাঁরা হলেন, দৌড়বিদ লিউ ছাংছুন, দুরপাল্লার দৌড়বিদ ওয়াং চুনসিয়া, জিমন্যাস্ট লি নিং, ভলিবলার লাং পিং, টেবিল টেনিস খেলোয়াড় ও কোচ লিউ কুওলিয়াং, নারী টেবিল টেনিস খেলোয়াড় তেং ইয়াপিং, ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় লিন তান, বাস্কেটবলার ইয়াও মিং, সাঁতারু সুন ইয়াং, ডাইভার কুও চিং চিং।</p>
<p style="text-align: justify;">চীনের দ্রুতগতির রেল এক অপার বিস্ময়। অতি অল্প সময়ে পাড়ি দেওয়া যায় মাইলের পর মাইল রাস্তা। এই রেলের প্রাত্যহিক বর্ণনায় পাঠককে চমৎকৃত হতেই হয়, ‘‘দ্রুতগতির ট্রেনের ওপর যাত্রীদের আস্থা এতো দৃঢ় যে, বেইজিংয়ে কর্মরত অনেকে রাজধানীর বাইরে বাস করেন দ্রুতগতির ট্রেনের ওপর ভরসা করে। বিশেষ করে, পার্শ্ববর্তী শহর থিয়েন চিন থেকে প্রতিদিন দ্রুতগতির ট্রেনে বেইজিং এসে অফিস করেন এবং বিকেলে আবার দ্রুতগতির ট্রেনে বাড়ি ফিরে যান।’’</p>
<p style="text-align: justify;">দ্রুতগতির রেল চ্যাপ্টারের প্রতিটি বর্ণনা মনোমুগ্ধকর। টিকেটিং সিস্টেম, রেল সিস্টেম, তরুণ ইঞ্জিনিয়ার, প্রযুক্তিবিদ, গবেষক কর্মীদের নানান পদক্ষেপ আলোড়িত করার মতো।</p>
<p style="text-align: justify;">ইন্টারনেট ব্যবস্থা সহজলভ্য হওয়ার ফলে চীনের নানারকম সেতুর ভিডিও ফেইসবুক কিংবা ইউটিউবে হরহামেশাই দেখা যায়। বইটাতে চীনের বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সেতুর বর্ণনা, নির্মাণ কৌশল তুলে ধরা হয়েছে। ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে চীনে আধুনিক সব কৌশল আবিষ্কার করে নতুন নতুন সেতু তৈরি করা হয়েছে যেগুলো নতুনত্বে একেকটা একেক অবকাঠামোয় নির্মিত।</p>
<p style="text-align: justify;">দুয়েকটা সেতুর নাম যদি উল্লেখ করি সেগুলো হচ্ছে, ছোংছিং ছাওথিয়ানমেন সেতু, হংকং- চুহাই-ম্যাকাও সেতু, নানশা সেতু, পালিং সেতু, ছিংশুই সেতু, ইয়াছি সেতু, পেইফান সেতু প্রভৃতি। চাইনিজ উচ্চারণ জটিল হলেও সহজ বাংলায় সেতুগুলোর নাম এবং বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় মনে হয়েছে আমার কাছে।</p>
<p style="text-align: justify;">বর্তমানে তরুণ প্রজন্ম ডিজিটালি ইনভলভ অনেক বেশি। বইটিতে ডিজিটাল মাধ্যম-সুপারকম্পিউটার, মহাকাশ, ট্রেন এবং সেতুর যে তথ্য পাওয়া যায় তা এই প্রজন্মকে অতি সহজেই প্রভাবিত করবে বলে আমার ধারণা। পুরো পৃথিবী বর্তমানে প্রযুক্তিগত দিক থেকে চীনের উপর নির্ভরশীল। চীন নিজেদের মেধাশক্তি কাজে লাগিয়ে আবিষ্কার করে চলেছে নতুন নতুন ইলেকট্রনিক গেজেট। সুপারকম্পিউটার চ্যাপ্টার পড়তে গিয়েও হয়েছি বিস্মিত।</p>
<p style="text-align: justify;">চীনের সুপারকম্পিউটার গুলো সম্পর্কে পড়ার পর চীনের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত শক্তি সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া যায়। চীনের সুপারকম্পিউটার ‘সানওয়ে থাইহু-লাইট'( Sunway TaihuLight) ‘টপ ৫০০’ (TOP 500) তালিকার শীর্ষস্থান দখলকারী। এছাড়াও থিয়ানহ্য-১, থিয়ানহ্য-২, ইনহ্য সুপারকম্পিউটার সিরিজ, তাওনিং সুপারকম্পিউটার সিরিজ, সানওয়ে সিরিজ নিয়েও আছে বিস্তারিত আলোচনা।</p>
<p style="text-align: justify;">মহাকাশে বিচরণের দিক থেকেও এখন আলোচনার অংশ চীন। জলে স্থলে সফল সব যোগাযোগ মাধ্যম নির্মাণে সফলতার সাথেসাথে মহাকাশেও এগিয়ে যাচ্ছে চীনের অংশগ্রহণ। সেই অংশগ্রহণের অংশ হিসেবেই নির্মিত হয়েছে মহাকাশকেন্দ্র ‘থিয়ানকং’ যার অর্থ ‘স্বর্গীয় প্রাসাদ’। মহাকাশকেন্দ্রের মূল অংশের নাম ‘থিয়ানহ্য’ যার অর্থ ‘স্বর্গের ঐকতান’।</p>
<p style="text-align: justify;">‘থিয়ানহ্য’তে নভোচারীদের বসবাসের ব্যবস্থা আরামদায়ক করার জন্য ইনস্টল করা আছে এয়ার কন্ডিশনার, মাইক্রোওয়েভ আভেন, রেফ্রিজারেটর, পানিধারক ও ট্রেডমিল। প্রতিজন নভোচারীর জন্য একটি করে বিশেষ মোবাইল ফোনও থাকবে, যা দিয়ে তিনি পৃথিবীর মানুষের সাথে যেমন যোগাযোগ করতে পারবেন, তেমনি মহাকাশকেন্দ্রের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।</p>
<p style="text-align: justify;">এছাড়াও চীনের চন্দ্রাভিযান, মঙ্গলগ্রহে চীনের মহাকাশযান, গ্যালাক্সির শেষ প্রান্তে চীনের নজর, মহাশূন্যে চীনের ৩ শতাধিক সক্রিয় কৃত্রিম উপগ্রহ, লংমার্চ সংগ্রাহক-রকেট প্রভৃতি পড়তে গিয়ে পাঠক হিসেবে চমৎকৃত হয়েছি। প্রতিটি বিষয়ে তথ্য উপাত্ত, মজার মজার ঘটনা পৃথিবীর বাইরে আরেক পৃথিবী নিয়ে ভাবতে প্রভাবিত করে।</p>
<p style="text-align: justify;">পরিশেষে, আমার কাছে মনে হয়েছে বইটা উন্নয়নের এক উজ্জ্বল দলিল যেখানে পাওয়া যায় সফল কর্মপদ্ধতি, জনগণকে জনশক্তিতে পরিণত করার পদ্ধতিগত পথ। এছাড়াও তরুণ এক কর্মী থেকে সফল নেতা হয়ে উঠার বিবরণ। বই এবং বইয়ের লেখকের জন্য রইলো অফুরান শুভকামনা।</p>
<p style="text-align: justify;"><em><strong>লেখক: প্রভাষক, জাফলং ভ্যালি বোর্ডিং স্কুল।</strong></em></p>
realtednews
$value array (2)
0 => stdClass#108 (58)
$value[0]
Properties (58)
id_article -> string (5) "87466"
$value[0]->id_article
article_title -> UTF-8 string (105) "ফেসবুক গ্রুপ কীভাবে নতুন লেখক তৈরি করছে"
home_title -> UTF-8 string (105) "ফেসবুক গ্রুপ কীভাবে নতুন লেখক তৈরি করছে"
$value[0]->home_title
share_title -> UTF-8 string (105) "ফেসবুক গ্রুপ কীভাবে নতুন লেখক তৈরি করছে"
$value[0]->share_title
DetailNews -> null
$value[0]->DetailNews
article_shoulder -> string (0) ""
$value[0]->article_shoulder
article_hanger -> string (0) ""
$value[0]->article_hanger
article_summary -> UTF-8 string (428) "সাদাত হোসাইন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে লেখালেখি করেন অনেক দিন থেকেই। শুরুতে ...
$value[0]->article_summary
সাদাত হোসাইন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে লেখালেখি করেন অনেক দিন থেকেই। শুরুতে তার লেখার বিষয়বস্তু ছিল সমসাময়িক বিষয় নিয়ে তার চিন্তা ভাবনা, শৈশবের স্মৃতিচারণ।
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় রেলস্টেশন সংস্কারের দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন স্থানীয়রা। বুধবার (১১ জুন) সকাল থেকে উপজেলার নন্দনগাছী রেলস্টেশন এলাকায় শুরু হয়েছে এ কর্মসূচি।
article_summary -> UTF-8 string (656) "জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান মেঘনা...
$value[1]->article_summary
জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। প্রতিষ্ঠানটি সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং (ফ্রেশ এলপিজি) বিভাগে ‘এক্সিকিউটিভ/সিনিয়র এক্সিকিউটিভ’ পদে কর্মী নিয়োগে ৪ জুন প্রকাশ করেছে এ বিজ্ঞপ্তি।
home_title -> UTF-8 string (170) "নেত্রকোণায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১"
$value[2]->home_title
share_title -> UTF-8 string (170) "নেত্রকোণায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১"
$value[2]->share_title
article_shoulder -> string (0) ""
$value[2]->article_shoulder
article_hanger -> string (0) ""
$value[2]->article_hanger
article_summary -> UTF-8 string (555) "নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আনিসুর রহম...
$value[2]->article_summary
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আনিসুর রহমান (৪৫) নামে এক ব্যক্তির খুনের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১০ জুন) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের দনাচাপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
image_title -> UTF-8 string (139) "নেত্রকোণার কেন্দুয়া থানা ও ইনসেটে নিহত আনিসুর রহমান"
$value[2]->image_title
image_tag -> UTF-8 string (555) "নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আনিসুর রহম...
$value[2]->image_tag
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আনিসুর রহমান (৪৫) নামে এক ব্যক্তির খুনের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১০ জুন) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের দনাচাপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
article_summary -> UTF-8 string (463) "প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধের খেলা শেষ করেছে ব্রাজিল। ...
$value[3]->article_summary
প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধের খেলা শেষ করেছে ব্রাজিল। দলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেছে ভিনিসিয়াস জুনিয়র। প্রথমার্ধের একবারে শেষ মুহূর্তে ৪৪ মিনিটে গোলটি...
article_summary -> UTF-8 string (590) "শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ছাত্রদলের দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে গুরুতর আহত ...
$value[5]->article_summary
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ছাত্রদলের দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে গুরুতর আহত ইয়াসিন মৃধা (১৪) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজধানী ঢাকার মগবাজার এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
article_summary -> UTF-8 string (691) "জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ব্র্যাকনে...
$value[6]->article_summary
জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ব্র্যাকনেট লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংক অ্যান্ড এনবিএফআই (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) বিভাগে ‘সিনিয়র এক্সিকিউটিভ/অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার’ পদে কর্মী নিয়োগে ৪ জুন প্রকাশ করেছে এ বিজ্ঞপ্তি।
home_title -> UTF-8 string (193) "জুলাই শহীদদের বাড়িতে ফল দিয়ে ফেরার পথে বৈষম্যবিরোধী নেতাদের ওপর হামলা"
$value[7]->home_title
share_title -> UTF-8 string (193) "জুলাই শহীদদের বাড়িতে ফল দিয়ে ফেরার পথে বৈষম্যবিরোধী নেতাদের ওপর হামলা"
$value[7]->share_title
article_shoulder -> string (0) ""
$value[7]->article_shoulder
article_hanger -> string (0) ""
$value[7]->article_hanger
article_summary -> UTF-8 string (471) "মাদারীপুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত শিক্ষার্থীদের বাড়িতে মৌসুমি ফল বিত...
$value[7]->article_summary
মাদারীপুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত শিক্ষার্থীদের বাড়িতে মৌসুমি ফল বিতরণ শেষে ফেরার পথে হামলার শিকার হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একদল নেতাকর্মী। এ ঘটনায় দুইজন...
home_title -> UTF-8 string (143) "গোপালগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের ওপর হামলা"
$value[8]->home_title
share_title -> UTF-8 string (143) "গোপালগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের ওপর হামলা"
$value[8]->share_title
article_shoulder -> string (0) ""
$value[8]->article_shoulder
article_hanger -> string (0) ""
$value[8]->article_hanger
article_summary -> UTF-8 string (707) "মাদারীপুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত শিক্ষার্থীদের বাড়িতে মৌসুমি ফল বিত...
$value[8]->article_summary
মাদারীপুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত শিক্ষার্থীদের বাড়িতে মৌসুমি ফল বিতরণ শেষে ফেরার পথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ওপর হামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ জুন) রাত ৮টার দিকে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার চরপ্রসন্নদি গ্রামে বরিশাল গেটওয়ে হোটেলে এ ঘটনা ঘটে।
tag_words -> UTF-8 string (116) "বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সমন্বয়ক, হামলা"
$value[8]->tag_words
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সমন্বয়ক, হামলা
image_title -> UTF-8 string (159) "গোপালগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ওপর হামলা"
$value[8]->image_title
image_tag -> UTF-8 string (707) "মাদারীপুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত শিক্ষার্থীদের বাড়িতে মৌসুমি ফল বিত...
$value[8]->image_tag
মাদারীপুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত শিক্ষার্থীদের বাড়িতে মৌসুমি ফল বিতরণ শেষে ফেরার পথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ওপর হামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ জুন) রাত ৮টার দিকে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার চরপ্রসন্নদি গ্রামে বরিশাল গেটওয়ে হোটেলে এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশে সিলেট জেলার কোম্পানিগঞ্জের জনপ্রিয় 'উৎমাছড়া' পর্যটন স্পটে গিয়ে পর্যটকদের বের করে দেয়া এবং পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণার ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ঘটনার সাথে জড়িতরা বলছেন, 'তারা শুধু ধর্মের দাওয়াত' দিতে গিয়েছিলেন। ভিডিওতে একজনকে পর্যটন স্পটটি বন্ধ করে দেয়ার কথা বলতে শোনা গেলেও প্রশাসনের সাথে বৈঠকের পর তারা এখন বলছেন, 'পর্যটক আসা নিয়ে তাদের কোন আপত্তি নেই'।